সাহস ও দেশাত্মবোধের আরেক নাম নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: ২৩ জানুয়ারি ১৮৯৭, চলছিলো ভারতবর্ষে ইংরেজ রাজ। সেদিন ওড়িশার কটকে এক বাঙালি পরিবারে জন্ম হয় ভারত মাতার এক বীর সন্তানের। তাঁর নাম ছিলো শাসক ইংরেজদের কাছে এক আতঙ্ক। তাঁর বুদ্ধিতে ভীত হয়েছিল স্বয়ং জার্মান শাসক হিটলার। তিনি আমাদের সবার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু। শুধু বাঙালি নন, দেশের মানুষের মনে দেশাত্ববোধ জাগানো থেকে পাশ্চাত্য শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর শিক্ষা সব নেতাজির হাত ধরে।

    তবে তাঁর নীতি আদর্শ মহাত্মা গান্ধীর নীতি আদর্শের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের হাত ধরেই দেশনায়ক নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর রাজনীতির জগতে পা রাখা।

    সর্বভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাথে তিনি ২০ বছর যুক্ত ছিলেন নীতি আদর্শের অমিল থাকা সত্বেও। ১৯২৩ সালে তাঁকে সর্বভারতীয় জাতীয় যুবো কংগ্রেসের সম্পাদক নির্বাচিত করা হয় এবং তার পরের বছরে তিনি কলকাতা পুরসভার মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন। পাশ্চত্য শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জন্য তিনি দু’বছর কারাদণ্ডেও ছিলেন। মতের অমিল হওয়ায় ১৯৩৯ সালে তিনি অল ইন্ডিয়া ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি তাঁর নীতি আদর্শ ‘স্বরাজ’ নামের এক নিজস্ব পত্রিকা দিয়ে প্রচার করেন।

    ১৮ অগাস্ট ১৯৪৫ সালে এক বিমান দুর্ঘটনায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। শোকস্তব্ধ হয়ে ওঠে গোটা দেশ। তবে তাঁর জীবনাবসান শিখিয়ে যায় সাহস। আজো তাঁর বলা কথা দেশবাসী অক্ষরে অক্ষরে পালন করে। আজো সেই কথা “আমায় রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেবো” এই সমাজে ভেসে ওঠে।