দুর্গাপূজা উপলক্ষে দুঃস্থ ও পথশিশুদের বস্ত্রদান করল নিন্দা ও প্রতিবাদ পরিবার

মহম্মদপ রিপন, নতুনগতি:

    “হৃদয়ে রাখো, রেখোনা দূরে
    সবারে বাসো ভালো,
    তোমার সুখে সবাই সুখী
    জীবন হবে আলো।
    দুর্গাপূজার আগমনী বাংলার সবুজ মাঠের কাশ ফুলের সৌন্দর্য আগাম বার্তা নিয়ে আসে। শীত এখনো ঝাঁকিয়ে আসেনি তবে দুর্গাপূজার আনন্দে আত্মহারা উৎসব প্রিয় বাঙালি। এবার দুর্গাপূজার দিন গুলিকে আনন্দময় করে তুলতে বীরভূম জেলার মুরারই থানার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা নিন্দা ও প্রতিবাদ পরিবার, মুরারইয়ের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে অসাহায়, দুঃস্থ,পথশিশুদের হাতে নতুন বস্ত্র তুলে দিলেন। নতুন বস্ত্র পেয়ে অনেকের মুখে তৃপ্তির হাসি, ছোট ছোট বাচ্চাগুলোর শুকনো মুখের আড়ালে তখন দেখা যাচ্ছে একটু ভালোবাসার হাসি।

    অনেক বাচ্চা নতুন বস্ত্র পেয়ে ছুটে এসে কোলে চেপে নিচ্ছে স্বেচ্ছাসেবক কাকুদের আবার অনেকে আবার দুষ্টুমি ভরা কন্ঠে বলে উঠছে ” কাকু আবার কবে আসবে? এ যেন সত্যিই স্বর্গীয় অনুভুতি। মিনতি রবিদাস, সুখেন হাঁসদা, সুতপা মালদের কথায় ভিক্ষাবৃত্তি করে দিন চলে আমাদের, সংসার চালানোই খুব কষ্টকর তাতে আবার আমাদের মতো দুঃস্থ পরিবারের মানুষদের কাছে পোশাকটা নৈব নৈব চ এর মতো কিন্তু নিন্দা ও প্রতিবাদ পরিবারের ছেলেরা আমাদের কাছ অবতার হয়ে এসে নতুন জামা কাপড় দিল তাতে আমরা খুব খুশি। ক্যান্সার আক্রান্ত এক ব্যক্তির কথায় – আমার সন্তানদের মুখে দিকে তাকিয়ে লুকিয়ে চোখের জল ফেলেছি, সামনে পুজো অথচ কোনো বস্ত্র কিনে দিতে পারিনি তাদের কিন্তু তোমরা বাবা আমার পরিবারের মুখে হাসি ফোটালে জীবনে অনেক বড় হও, মানুষের পাশে থেকো সবসময় ঈশ্বর তোমাদের ভাল করবে।

    হালকা শীতের সকাল, বৃষ্টিভেজা পথ তাতেই বেড়িয়ে পড়েছিল নিন্দা ও প্রতিবাদ পরিবারের সব সদস্যরা। সকাল ৮:৩০ মিনিটে মুরারই প্যারাডাইস সিনেমা হলের কাছে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুরারই থানার ওসি সাহেব,মফিজুল হক,আজিজুল হক,আব্দুল মান্নান,মেহেবুব হক,রকি মিঞা,মৌসুমি খাতুন, রবিউল সেখ, মহঃ আলিরেজা সুমন,তফিজুল সেখ,কুদরতুল্লা সেখ,শ্বেতা ভকত প্রমুখ ও নিন্দা ও প্রদিবাদ পরিবারের ১০৫ জন সদস্য।তারপর মুরারইয়ের অধিকাংশ গ্রামে বাইক র্যালির মাধ্যমে গিয়ে গিয়ে বস্ত্র তুলে দেওয়া হয়। বস্ত্রদান শেষে নিন্দা ও প্রতিবাদ পরিবারের ১০৫ জন সদস্য জানান আমরা খুব খুশি মুরারইয়ের এই অসাহায় মানুষ গুলোর পাশে থাকতে পেরে ভবিষ্যতেও আমরা এদের পাশে সন্তানের মতো থাকতে চাই।