সারপ্রাইজ ভিজিটে নদিয়া জেলা হাসপাতালে পৌঁছে গেলেন তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল ও চিকিৎসক সংগঠন নির্মল মাঝি

নিজস্ব সংবাদদাতা : দিনকয়েক আগেই মালদা মেডিক্যালের অধ্যক্ষ থেকে সহকারী সুপার, হাসপাতালে কেউই তিন দিনের বেশি কাজে আসেন না বলে সরব হয়েছিলেন। এবার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে সারপ্রাইজ ভিজিটে নদিয়া জেলা হাসপাতালে পৌঁছে গেলেন তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল ও চিকিৎসক সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল মাঝি । এদিন তিনি হঠাৎই মোটর বাইকে চেপে প্রথমে জেলা হাসপাতালের সদর ক্যাম্পাস ও পরে শক্তিনগর ক্যাম্পাসে পরিদর্শনে আসেন।

     

    সকাল ১০টা নাগাদ তিনি সদর ক্যাম্পাসে গিয়ে সুপারের সঙ্গে দেখা করেন। ১০টা বেজে গেলেও, অধিকাংশ চিকিৎসক তখনও কাজে যোগ না দেওয়ায় তিনি উষ্মা প্রকাশ করেন। এর পর দুই ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ওয়ার্ড এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেন। রোগী ও তাঁর পরিজনদের সঙ্গে কথা বলেন। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্য-পরিকাঠামো, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর ঘাটতি মেটানোর আশ্বাস দিয়ে যান।এছাড়াও হাসপাতাল চত্বর সহ ব্লাড ব্যাঙ্ক ও মর্গে দালালচক্র রুখতে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, দালাল চক্র রুখতে সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন করা হবে এবং ধরা পরলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

     

    সম্প্রতি শাসক দলের এই হেভিওয়েট বিধায়ক নিশানা করেন মালদা মেডিক্যালের অধ্যক্ষ ও ৬ জন সহকারী সুপারকে। ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রোগ্রেসিভ মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের মালদা শাখার সম্মেলন থেকে চিকিৎসকদের একাংশকে একহাত নেন সংগঠনের চেয়ারম্যান নির্মল মাজি।

    নির্মল মাজি বলেন, “আসি, যাই, মাইনে পাই – এর এই যে পথ পরিক্রমা, বিশেষ করে মালদায় এটা দেখছি প্রকটিত হয়েছে। মালদায় প্রিন্সিপাল সুপার ৩ দিনের বেশি আসেন না! বেশ কিছু সিপিএম জমানার হার্মাদ আর হেলথ সার্ভিস অফ ডক্টর্স, সিপিএমের চিকিৎসক সংগঠনের নেতারা, যাঁরা এখানে পরবাসে আছেন, পরভূমে আছেন, তাঁরা আসার প্রয়োজনও মনে করেন না।”