‘নো’ লকডাউন, জনধন যোজনার টাকা তুলতে উপচে পড়া ভিড়, তুমুল উত্তেজনা ছড়ালো মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে

উজির আলী, নতুনগতি,চাঁচল: ০৬ এপ্রিল

    লকডাউন কে উপেক্ষা করে প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনা খাতায় পাওয়া ৫০০ টাকা করে তুলতে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের বারদুয়ারী বঙ্গীয় গ্রামীন বিকাশ ব্যাঙ্কে গ্রাহকদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেল সোমবার । শাখার মুল ফটকে একটি গ্রাহকসেবা কেন্দ্রের জমায়েতকে ঘিরে উত্তেজনা এদিন।

    একদিকে লকডাউন, অন্যদিকে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক এই উভয়ের মাঝখানে ভিড় বাড়তে থাকলে ওই শাখার সিএসপি কর্মী বাবলু মন্ডল গ্রাহকদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে। গ্রাহকদের বিক্ষোভ বাড়তে থাকলে সিএসপি কর্মী সেবা কেন্দ্র বন্ধ করে বাড়ি চলে যান বলে জানা গেছে।

    হঠাৎ করে সেবা কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গ্রাহকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।তারা পার্শ্ববর্তী গ্রামীণ শাখায় এসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। বিক্ষোভের জেরে শাখার কাজকর্ম স্থগিত হয়ে যায়। লকডাউনের জেরে এলাকায় এত মানুষের সমাগম হয় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে এদিন।
    তড়িঘড়ি করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় খবর দিলে। পৌছাঁয় বিশাল পুলিশবাহিনী, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

    গ্রাহকদের সামাজিক দুরত্ব মেনে চলতে অনুরোধ করা হয় প্রশাহনের তরফে।
    এবিষয়ে ওই সিএসপি কর্মী বাবলু মন্ডল জানান, এলাকার অনেক গ্রাহকের একাউন্টে প্রধানমন্ত্রীর জনধন যোজনায় ৫০০ টাকা করে এসেছে।

    এই টাকা তুলতে হঠাৎ করে প্রচুর গ্রাহকের সকাল থেকে ভিড় হয়। অনেকবার ওই সমস্ত গ্রাহকদের বলেছি সবাই টাকা পাবে কিন্তু একদিনে এতজন গ্রাহক ভীর না করে অল্প অল্প করে এসে টাকা তুলতে। এবং দূরত্ব বজায় রাখে দাঁড়াতে। কিন্তু তারা কোন কথা না শুনে গ্রাহকসেবা কেন্দ্রে র টেবিল ঠেলাঠেলি করতে শুরু করে। তার কাছে ব্যাংকের কিছু টাকাও ছিল। তাই এই গ্রাহকদের উত্তেজনা দেখে এবং টাকা নিরাপত্তার জন্য তিনি সিএসপি কেন্দ্র বন্ধ করে দেন।

    এপ্রসঙ্গে ওই ব্যাংকের গ্রাহক মুকুন্দপুর এর সুকদি রিসি টিটিয়া গ্রামের মঞ্জুরা খাতুন জানান তারা আজ ব্যাংকে জনধন যোজনা পাওয়া ৫০০ টাকা তুলতে এসেছিলেন। কিন্তু ব্যাংকের পাশে গ্রাহকসেবা কেন্দ্রে প্রচুর ভিড় হওয়ায় বই জমা কে কেন্দ্র করে গন্ডগোল ছড়ায়। এই গণ্ডগোলের জেরে কয়েকজনের পাস বই ও ছেরে যায়। গ্রাহকসেবা কেন্দ্রে কর্মীও হঠাৎ করে ব্যাংক লাগিয়ে চলে যান। আমরা টাকা না পেয়ে তাই ব্যাংকে বিক্ষোভ দেখিয়েছি।
    এবিষয়ে গ্রামীণ শাখার প্রবন্ধক সুবীর মুখার্জি জানালেন, লকডাউন কেঅমান্য করে এভাবে টাকা তুলতে বের করা ঠিক নয়।
    আগামীকাল থেকে আমরা পুলিশ দিয়ে টাকা তোলার ব্যবস্থা করব। এবং সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখারও নির্দেশ দেওয়া হবে।
    হরিশ্চন্দ্রপুর পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এদিন বিক্ষোভের খবর পেয়ে তারা এলাকায় এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এবং গ্রাহকদের অনুরোধ করা হয় যাতে লকডাউন কে অমান্য না করে সুষ্ঠভাবে টাকা আদান করে