তালিবান প্রথম সাংবাদিক বৈঠক : সকলে শান্ত থাকুন। কাজে যোগ দিন।

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: সোজা কথায় তালিবান অভয় দিল। আফগানিস্তান অধিকার করার পরে এই প্রথম তাদের সাংবাদিক বৈঠক। সেই বৈঠকে তারা জানাল, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। সকলে শান্ত থাকুন। কাজে যোগ দিন। এই বিষয়ে তালিবানের তরফে একটি টুইট আগেই করা হয়েছে।

    এই বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি তালিবানের তরফে জানানো হল, কেউ তাদের শত্রু নয়, নতুন বা পুরনো যাদের সঙ্গে তাদের সংঘাতের আবহ ছিল, তা আর নেই, তা মিটে গিয়েছে।

    তালিবান মুখপাত্র আরও জানাল, শরিয়তের বিধিনিষেধের সাপেক্ষেই তারা মেয়েদের স্বাধীনতার প্রশ্নটিকে বিচার করে। তারা মেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয়-পর্যন্ত পড়াশোনাকে স্বীকৃতি দেবে, তারা তাদের সরকারে মেয়েদের অংশগ্রহণকেও স্বাগত জানাচ্ছে। তারা তাদের ভূখণ্ড ড্রাগ-মুক্ত হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। এবং তারা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাও মেনে নেবে তবে তা ইসলামিক বিধিনীতির সাপেক্ষে।

    তালিবানে ‘সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ডার’ মোল্লা আব্দুল ঘানি বেরাদর আগেই বলেছিলেন, তালিবানের পরীক্ষা এবার শুরু হতে চলেছে। সত্যিই শুরু হয়ে গেল। অন্তত এই সাংবাদিক বৈঠক থেকে সেটাই স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

    তিনিই তালিবান-অধিকৃত আফগানিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট ঘোষিত হবেন এমন একটা আবহও তৈরি হয়েছে। দোহা থেকে রবিবার সন্ধেয় বেরাদর কাবুল পৌঁছছেন বলে মনে করা হচ্ছে। কাবুল পতনের পরে একটি ভিডিয়ো বার্তায় তিনি বলেছিলেন, তালিবানের আসল পরীক্ষা এবার শুরু হতে চলেছে। এ-ও বলেছিলেন যে, তালিবানকে এবার জাতির সেবায় নামতে হবে। তিনি সেই ভিডিয়ো বার্তাতেই বলেছিলেন, একটি বৈঠক করে মানুষের প্রত্যাশার খবর নেওয়া হবে। এবং তারপর তাঁদের আশাপূরণে নামতে হবে। করতে হবে তাঁদের সমস্যার সমাধান।

    বোঝাই যাচ্ছে, বেরাদরের পথেই তালিবানের শাসন-সংক্রান্ত ভাবনাচিন্তা বইছে। এই সাংবাদিক বৈঠকে তালিবানের তরফে ঈশ্বরকে অশেষ ধন্যবাদ জানানো হয়েছে, এই বলে যে, সর্বশক্তিমানের ইচ্ছাতেই তাদের এই লক্ষ্যপূরণ ঘটেছে।