কেউ কথা রাখেনি, নির্দল হয়ে মনোনয়ন পেশ করেছেন বৈষ্ণবনগর বিধানসভা কেন্দ্রের কুরবান আনসারি

নতুন গতি, কালিয়াচক  : তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি কেউ কথা রাখেনি। নির্বাচনের আগে গালভরা প্রতিশ্রুতি। আর জিতে যাওয়ার পর সব ভুলে যাওয়া। মানুষের পাশে দাঁড়ানো তো দূর, এলাকার উন্নয়ন নিয়েও কিছু ভাবে না তাঁরা। এই ক্ষোভ থেকেই নির্দল প্রার্থী হয়েছেন কুরবান আনসারি। বৈষ্ণবনগর বিধানসভা কেন্দ্রে এবার অন্যতম মুখ তিনি। বছর ভর মানুষের পাশে থেকে বিভিন্ন সামাজিক কাজ করে যান। সেই হিসেবে তাঁর পরিচিত রয়েছে। তাঁকে যাঁরা ভালোবাসেন, সেই ভোটটা যাতে অন্য কোথাও না পড়ে, সেইজন্যই নির্বাচনে দাঁড়ানো। এবং জেতার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-‌নেত্রীদের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়েই এই প্রথম তিনি প্রার্থী হয়েছেন। তাঁর বাড়ি সংশ্লিষ্ট বিধানসভা কেন্দ্রের বীরনগর-‌১ গ্রাম পঞ্চায়েতের নাসিরটোলা গ্রামে। সাধারণ ব্যবসায়ী তিনি। কিন্তু অসহায় মানুষদের পাশে থেকে বছরভর তিনি কাজ করে চলেছেন। গ্রামের আর্ত মানুষের চিকিৎসার ব্যবস্থা থেকে গরিব মানুষকে আর্থিক সাহায্য তিনি করে থাকেন। সংশ্লিষ্ট বিধানসভার বেশ কিছু গ্রাম পঞ্চায়েত ভাঙন কবলিত এলাকার মধ্যে পড়ে। তিনি জিতে ভাঙন প্রতিরোধের ব্যাপারে বিধানসভায় তুলে ধরবেন। অবহেলিত বিড়ি শ্রমিকদের কথা তুলে ধরবেন। যাতে তাঁরা আর্থিকভাবে উপকৃত হন। পাশাপাশি রাস্তাঘাট, পানীয় জলেরও ব্যবস্থা করবেন বলে জানান। কুরবান বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী চন্দনা সরকার থেকে বিজেপির বিদায়ী বিধায়ক স্বাধীন সরকার, কংগ্রেস কেউই এলাকার উন্নয়নে দিশা দেখাতে পারেন নি। কেউ কথা রাখে নি। উন্নয়ন করতে কংগ্রেস সহ সবাই ব্যর্থ হয়েছে।যদি ও তৃণমূল কংগ্রেসের চন্দনা সরকার বলেন, এলাকায় উন্নয়ন হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে। ভিত্তিহীন কথাবার্তা বলছেন। তৃণমূল জয়লাভ করবে। বিজেপি স্বাধীন সরকার বলেন, সীমিত ক্ষমতার মধ্যে উন্নয়নে সচেষ্ট রয়েছি। নির্দল কোন ফ্যাক্টর হবে না। বিজেপি জিতবে। কংগ্রেসের আজিজুল হক বলেন, ক্ষুব্ধ হয়ে হয়ত নির্দলে দাঁড় হচ্ছেন । কংগ্রেস জয়ী হবে। এলাকার মানুষের দাবি মেনে প্রার্থী হয়েছি এবং ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। আমি জয়লাভ করলে সংশ্লিষ্ট বিধানসভা কেন্দ্রে উন্নয়নের জোয়ার আসবে।’‌ তিনি তৃণমূল কংগ্রেস করলেও দল এখন দলে নীতি নেই। দলে বহু নতুন দের প্রাধান্য। ২০১৭ থেকে ২০১৮ সালে এসটি এসসি ওবিসি সেলের তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি ছিলেন । সাধারণ পরিবারের ছেলে ব্যবসা বানিজ্য করেন। ভোটে জয়ের ব্যাপারে সম্পূর্ণ আশাবাদী মানুষের পাশে থেকে উন্নয়ন ই লক্ষ্য থাকবে।