|
---|
উত্তর কোরিয়ায় রবিবার (১০মার্চ) : অনুষ্ঠিত হয়েছে সাধারন নির্বাচন।দেশটিতে একক প্রার্থীর জাতীয়নির্বাচনে দ্বিতীয় বারের মত প্রেসিডেন্টহিসেবে নির্বাচিত হলেন দেশটির নেতাকিম জং উন। উত্তর কোরিয়ার এইজাতীয় নির্বাচনে সব আসনেই প্রার্থীরসংখ্যা মাত্র ছিল একজন।
দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনেরশাসনামলে এটি দ্বিতীয় নির্বাচন। দেশটিতেগত নির্বাচনগুলোতেও প্রতি আসনে মাত্র ১জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেছেন।বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটিরসংসদ ‘সুপ্রিম পিপলস অ্যাসেম্বলি’র(এসপিএ) এই নির্বাচনে প্রার্থী মোট ৭০০জন হলেও প্রতিটি আসনেই প্রার্থী মাত্র১জন। কোনও আসনেই বিকল্প প্রার্থী ছিলনা।বিবিসির প্রতিবেদনে আরো বলাহয়েছে, সরকারি তালিকার বাইরেদেশটিতে অন্য প্রার্থী বেছে নেয়ার কোনসুযোগ থাকে না। কেননা দেশটিতে বিরোধীদল বলেও কিছু নেই।
এছাড়া দেশটির প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ীসেখানকার ভোটারদের কোন সিল কিংবাব্যালট পেপার পূরণ করা লাগেনা। ভোটেরদিন ভোটারদের শুধু প্রতিটি আসনের জন্যনির্ধারিত প্রার্থীর নাম লেখা ব্যালট পেপারব্যালট বাক্সে ফেলে দিয়ে হয়। দেশটিতে এ ধরনের নির্বাচনে ভোটারউপস্থিতির হার শতভাগ।উত্তর কোরীয়বিষয়ক একজন বিশেষজ্ঞ ফিয়োদরটার্টিস্কি বলেন, আনুগত্যের প্রমাণ হিসেবেভোটারদের খুব ভোরে নির্বাচন কেন্দ্রেহাজির হতে হবে। এরপর ভোটার যখনভোটকেন্দ্রে ঢুকবেন, তখন তার হাতেএকটি ব্যালট পেপার দেয়া হবে।সেখানেব্যালট পেপারে একটাই নাম থাকবে।সেখানে কোন কিছু লিখতে হবে না। কোনবাক্সে টিক চিহ্ন থাকবে না। ভোটার শুধুব্যালট পেপারটি নিয়ে একটি বাক্সে ভরেদেবে। ভোটের বাক্সটিও সাধারণত খোলাঅবস্থায় রাখা হয়।এছাড়া ভোটারদেরভোট দেয়া শেষ হলে একসঙ্গে মিলেআনন্দ করতে হবে। এর কারণ হিসেবেবিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ভোটারদেরউল্লাস করবে এই কারণে যে, দেশেরসুযোগ্য নেতাদের প্রতি সমর্থন জানাতেপেরেছে।
ফিয়োদর টার্টিস্কি আরো বলেন, উত্তরকোরিয়ার নিয়ময়ানুযায়ী ১৭ বছরের বেশিবয়সী সবাইকেই বাধ্যতামূলক ভোট প্রদানকরতে হয়। যারা ভোট দিতে যায় না, ধরেনেওয়া হয় তারা চীনে পালিয়ে গেছে।