|
---|
- নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: তথ্য জানার অধিকার (আরটিআই) আইনে এক ব্যক্তির প্রশ্নের উত্তরে খোদ রিজার্ভ ব্যাঙ্কই এ কথা জানিয়েছে। এমনকি, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতির অনুমোদন ছাড়াই ২০১৬-র ৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী নোট বাতিলের ঘোষণা করে দেন বলেও জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
আরটিআই-এর সূত্রেই জানা গিয়েছে, মোদীর নোট বাতিলের ঘোষণার দিন আড়াই ঘণ্টা আগেই বৈঠকে বসেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পরিচালন বোর্ড। নোট বাতিলে সরকারকে অনুমোদন দেওয়া হবে কি না, তা নিয়েই ওই বৈঠকে আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু সেই বৈঠকের সিদ্ধান্ত সরকারকে জানানোর আগে এবং অনুমোদনের অপেক্ষা না করেই নোট বাতিলের ঘোষণা করে দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
আরটিআই-এর উত্তরে রিজার্ভ মিনিট্স (কোনও বৈঠকের প্রতি মুহূর্তের ঘটনাক্রম) থেকে জানা যাচ্ছে, নোট বাতিলের কুফল সম্পর্কেও কেন্দ্রকে সতর্ক করেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। অর্থনীতি, মূদ্রাস্ফীতি, আর্থিক বৃদ্ধির উপর স্বল্পমেয়াদি ভিত্তিতে বড় ধাক্কা আসবে বলে সতর্ক করেছিলেন শীর্ষ ব্যাঙ্কের কর্তারা।
অর্থাৎ, এই আরটিআই-এর পর কার্যত নিশ্চিত যে, নোট বাতিলের ক্ষেত্রে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কোনও কথাই শোনেনি নরেন্দ্র মোদীর সরকার। একতরফা ভাবে নোট বাতিলের ঘোষণা করেছিলেন মোদী। কালো টাকা মজুতদারদের জব্দ করতে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, তা প্রায় কোনও কাজেই আসেনি। পরবর্তীকালে তার প্রমাণ মেলে রাতারাতি অচল করে দেওয়া ১০০০ এবং ৫০০ টাকার নোটের ৯৯ শতাংশেরও বেশি রিজার্ভ ব্যাঙ্কে ফিরে আসায়।