নয়াবাজার হাইস্কুলে মুক্ত মঞ্চের শিলান্যাস ক্ষুব্ধ প্রধান শিক্ষক 

নয়াবাজার হাইস্কুলে মুক্ত মঞ্চের শিলান্যাস ক্ষুব্ধ প্রধান শিক্ষক

    নতুন গতি, মোথাবাড়ি: লকডাউনের মধ্যে স্কুল বন্ধ কালীন প্রধান শিক্ষককে অন্ধকারে রেখে প্রাচীর ভেঙে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে মুক্তমঞ্চের শিলান্যাসের অনুষ্ঠান করার অভিযোগ উঠেছে নয়াবাজার হাইস্কুলের সভাপতি আমিনুর আলমের বিরুদ্ধে। কালিয়াচক-2 পঞ্চায়েত সমিতির বনভূমি কর্মাধ্যক্ষ হলেন আমিনুর আলম। গত শুক্রবার দুপুরে মুক্তমঞ্চের শিলান্যাস অনুষ্ঠান হয়। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন, পঞ্চায়েত প্রধান রিজিয়া বিবি, স্কুল সভাপতি আমিনুর আলম ( লিপু) সহ কিছু মানুষ। শিলান্যাসের ঘটনায় রবিবার প্রধান শিক্ষকের একটি অভিযোগকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে পঞ্চানন্দপুর এলাকায়। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্কুল সভাপতি। নয়াবাজার হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সামসের জামান মনি বলেন, অনৈতিকডাবে শিলান্যাসের অভিযোগ জানিয়ে মোথাবাড়ি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
    তার অভিযোগের প্রতিলিপি, বিডিও, জেলাশাসক, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী কে ও পাঠিয়েছেন। প্রধান শিক্ষক সামসের জামান মনির অভিযোগ, তাকে না জানিয়ে লকডাউনে স্কুল বন্ধের সময়ে বিদ্যালয়ের পিছনে একটি বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙে চত্বরে ঢুকে শিলান্যাস অনুষ্ঠান করেছেন বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আমিনুর আলম। যদিও অভিযুক্ত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তৃণমূল নেতা আমিনুর আলমের বক্তব্য আমি কোন বিদ্যালয়ের প্রাচীর ভাঙা হয়নি। বিদ্যালয়ের এক অস্থায়ী কর্মীর মাধ্যমে দরজা খুলে ঢুকেছিলাম। প্রধান শিক্ষককে শিলান্যাসের অনুষ্ঠানে আসার জন্য বারবার জানানো হয়েছিল। প্রধান শিক্ষক দীর্ঘদিন থেকে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন। উনি বিদ্যালয়ের মেন গেটের চাবি বারবার চেয়ে পাঠালেও দেননি দেননি। বিধায়ক শিলান্যাস করতে এসে দুদিন ঘুরে গেছে।

    এদিন বাধ্য হয়ে আমরা দরজা খুলে বিদ্যালয় প্রবেশ করে মুক্ত মঞ্চের শিলান্যাস করেছি। স্থানীয় মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল একটি মুক্ত মঞ্চের। শীঘ্রই কাজ শুরু করা না হলে টাকা ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিনের বিধায়ক তহবিল থেকে আট লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৈরি হবে মুক্তমঞ্চ। তাই ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত ও সভাপতি হিসাবে অনাড়ম্বরভাবে এই কাজের শিলান্যাস হয়েছে। সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি পাল্টা অভিযোগ এনেছেন। যদিও শিলান্যাসকে কেন্দ্র করে স্কুলে অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে মোথাবাড়ি থানার পুলিশ। মোথাবাড়ি থানার ওসি বিটুল পাল জানিয়েছে, অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখে যদি কোথাও কোন অসঙ্গতি থাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন।
    বিষয়টি নিয়ে মোথাবাড়ি বিধানসভার সদস্য সাবিনা ইয়াসমিন জানান,” প্রধান শিক্ষক ঠিক কাজ করেননি। উনার  কোন সমস্যা থাকলে আমাকে জানাতে পারতেন। এই টাকা বহুদিন আগেই মঞ্জুর হয়েছে। বিদ্যালয়ের দোষেই কাজ শুরু করা যায়নি। আমাকে নির্বাচনের আগে এই কাজটি শেষ করতেই হবে। গত নির্বাচনে আমার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল এখানে মুক্তমঞ্চ করার। কাজটি শেষ না হলে আগামী নির্বাচনে আমি মানুষের কাছে ভোট চাইবো কি করে ?আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে ফোন করেছি। উনি ফোন তুলেন নি‌। আমি এর আগের দুই দিন পঞ্চনন্দপুর এসেও উদ্বোধন করতে পারিনি। উনি একজন শিক্ষক হয়ে উন্নয়নে বাধা দিতে পারেন না। যে কোন সমস্যা থাকলে প্রধান শিক্ষক  আমাকে জানালে  আমি বিদ্যালয়ে সবাইকে নিয়ে বসে সমস্যা সমাধান করতে রাজি আছি।”