|
---|
অবৈধ অধিবাসী কে?
1955 সালের নাগরিকত্ব আইনের মতে, অবৈধ অধিবাসী একজন যিনি বৈধ পাসপোর্ট ছাড়া অথবা নকল নথি নিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন অথবা কোন ব্যক্তি ভিসার পারমিট অতিক্রম হয়ার পর ও ভারতে আছেন এবং নিজের দেশ ও ভারত থেকে সুযোগ সুবিধা ভোগ করেন।
এনআরসি কি?
NRC এর পুরো কথাটি হল National Register of Citizens,অর্থাৎ “জাতীয় নাগরিকপঞ্জি”, অর্থাৎ, ভারতীয় নাগরিকদের নামের তালিকা।এই তালিকায় যাদের নাম থাকবে কেবল তারাই ভারতের নাগরিক বলে গণ্য হবে,আর যাদের নাম থাকবে না তারা ভারতের নাগরিক বলে গণ্য হবে না। ২৪ শে মার্চ, ১৯৭১ সালের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশি নাগরিকরা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে । এই প্রবেশকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের সনাক্ত করার জন্য আসামে বর্তমানে এনআরসি আপডেট করা হচ্ছে। ১৯৮৫ সালের আসামে এটি করা হয়েছিল , যা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজিব গান্ধী এবং AASU এর মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ১৯৫১ সালের আদমশুমারি ( Census)অনুসারে আসাম রাজ্যটি বাংলাদেশের কাছাকাছি ছিল তখন প্রথম এনআরসি চালু হয়েছিল।
নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল, ২০১৯ কী?
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ভারতের লোকসভায় ২০১৯ সালে পাশ হয়ে গেল কয়দিন আগেই। ২০১৬ সালে প্রথম উত্থাপিত এই বিষয়ক বিলটি ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। মূলত নাগরিকদের পরিচয় অনুসারে। ২০১৬ সালে এই বিলটি লোকসভায় পেশ হওয়ার পর একটি যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠিত হয় এই বিষয়ে পর্যালোচনার জন্য। সেই কমিটিতেও বহুদিন যাবৎ আলোচনা চলার পর কোন সংশোধনী ছাড়াই বিলটি সংসদে পুনরায় পেশ করা হয় এবং তা পাশ হয় এই বছরের শুরুতেই।
ভারতীয় নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী অবৈধ অনুপ্রবেশকারীর একটি নির্দিষ্ট সংজ্ঞা আছে। যে সমস্ত ভিনদেশের নাগরিক ভারতে কোন বৈধ কাগজপত্র ব্যতীত অনুপ্রবেশ করেছে অথবা নির্ধারিত সময়সীমার পরেও ভারতে অবস্থান করছে তাদের এই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীর আওতায় ফেলা হয়। এই বিল অনুসারে আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আগত হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্শি এবং খ্রিস্টানদের এবার থেকে আর অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হিসাবে গণ্য করা হবে না। ভারতের নাগরিকত্ব গ্রহণের জন্য বিদেশী নাগরিকদের কমপক্ষে ১১ বছর ভারতে থাকতে হয় অথবা ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে চাকরি করতে হয়। এই বিল অনুসারে আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আগত হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্শি এবং খ্রিস্টানদের জন্য এই সময়কাল কমিয়ে ৬ বছর করা হয়েছে। নাগরিকত্বের আবেদনের বাকি সকল শর্ত অবশ্যই বজায় থাকবে।
২০১৯ সালের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনটি শুধু আসাম রাজ্য পর্যন্ত সীমাবদ্ধ নয়।এটি দেশের সকল রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে প্রযোজ্য হবে।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৯- অনুযায়ী এই বিলের সুবিধাভোগীরা দেশের যে কোনও অংশে বসবাস করতে পারে।
আসাম রাজ্য কে একা শুধুমাত্র সমগ্র বাসিন্দাদের ভার বহন করতে হবে না এবং ভারত সরকার আসামের জনগণকে সব রকম সহায়তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি সংবিধান লঙ্ঘন করে কারণ এটি যে শ্রেণীকরণটি গ্রহণ করে তা স্পষ্টভাবে নির্বিচারে এবং অন্যায়হীন। নাগরিকত্ব আইন একটি দেশের রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক পরিচয় বহন করে। শুধুমাত্র ধর্মীয় বিশ্বাসের ভিত্তিতে কাউকে রাজনৈতিক কারনে বিভাযন করা উচিৎ নয় কারন ভারত একটি ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ। এই বিলের নিয়মগুলি সম্পূর্ণরূপে সংবিধানের ধারা ১৪ নীতি লঙ্ঘন করে।
#### কিভাবে নাগরিকত্ব (সংশোধন) বিল, ২০১৯ প্রভাবিত ?
নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল, ২০১৯ প্রতিবেশী দেশগুলিতে অত্যাচারিত অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদানের জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে, এনআরসি ধর্মের ভিত্তিতে অভিবাসীদের পার্থক্য করে না। কিন্ত বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকার ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন করছে NRC দেয়ার জন্য। বর্তমানে আসামে অবৈধ অভিবাসীদের জন্য ছয়টি আটক ক্যাম্প রয়েছে তবে এখনও এই ক্যাম্পে মানুষকে আটক রাখা পরিমাণ কতটুকু তা স্পষ্ট নয়। নির্বাসনের প্রক্রিয়া বা আটক রাখার প্রক্রিয়াটি পরিষ্কার নয় কারণ এটি সরকার কর্তৃক বিবৃত হয়নি। কিন্তু যদি বিলটি একটি আইন হয়ে যায়, তাহলে অমুসলিমদের এই ধরনের কোনও প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে না, অর্থাৎ অনুমোদিত অভিবাসী হিসাবে চিহ্নিত মুসলমানদের বিরুদ্ধে এটি পরিষ্কারভাবে বৈষম্যমূলক।ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্য আসামে এনআরসি তে বাদ পড়া মানুষগুলো যাতে তাদের রাজ্যে ঢুকতে না পারে সেই ব্যাপারেও বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।
বর্তমান সরকার আসাম অ্যাকর্ড বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আসাম অ্যাকর্ডের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ ধারা ৬, সাংখ্যিক, সামাজিক ও ভাষাগত পরিচয় এবং আসামি জনগণের ঐতিহ্যের সুরক্ষার জন্য সাংবিধানিক, আইনী ও প্রশাসনিক সুরক্ষার সাথে সম্পর্কিত কোন কাগজপত্র। ০৫-০১-২০১৯ তারিখে, এমএএইচ, অসমী সমাজের বিশিষ্ট ও বুদ্ধিমান ব্যক্তিদের সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে, যাতে আসামিয়া পরিচয়ের সুরক্ষার জন্য যেমন নিরাপত্তা পরিষদ এবং চাকরির মধ্যে সংরক্ষণের জন্য এই ধরনের সুরক্ষা ব্যবস্থা সুপারিশ করে। কমিটি ৬ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে।
অসম, কোচ ,রাজবাংশী, চুটিয়া, চা জনগোষ্ঠী, মরান ও মাতাক নামে ৬ টি সম্প্রদায়কে সংসদীয় বিধানসভা অনুমোদন দিয়েছে সংসদে বিলটি প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে অসম সরকার।
*পেজটাকে লাইক ও শেয়ার এর মাধ্যমে প্রত্যেক সাধারণ মানুষের কাছে আইনের সাধারণ নিয়মকানুন গুলি পৌছে দিন।
### Who are illegal immigrants?
According to the citizenship Act, 1955, an illegal immigrant is one who enters India without a valid passport or without forged documents. or a person who stays beyond the visa permit.
###What is NRC?
The National Register of Citizens (NRC) is meant to identify a bona fide citizen. In other words, by the order of the Supreme Court of India, NRC is being currently updated in Assam to detect Bangladeshi nationals who might have entered the State illegally after the midnight of March 24, 1971. The date was decided in the 1985 Assam Accord, which was signed between the then Prime Minister Rajiv Gandhi and the AASU. The NRC was first published after the 1951 Census in the independent India when parts of Assam went to the East Pakistan, now Bangladesh.
###What is citizenship( Ammendment) Bill,2019?
The Citizenship (Amendment) Bill, 2016 was introduced in the Lok Sabha on July 15, 2016, seeking amendment of the Citizenship Act, 1955 to provide citizenship to illegal migrants, from Afghanistan, Bangladesh and Pakistan, who are of Hindu, Sikh, Buddhist, Jain, Parsi or Christian extraction. However, the Act doesn’t have a provision for Muslim sects like Shias and Ahmediyas who also face persecution in Pakistan.The Bill also seeks to reduce the requirement of 11 years of continuous stay in the country to six years to obtain citizenship by naturalisation.
Again in 2019 The Citizenship Amendment Bill, 2019 was introduced in the Lok Sabha on 08-01-2019. The Bill seeks to facilitate acquisition of citizenship by 6 identified minority communities namely Hindus, Sikhs, Jains, Buddhists, Christians and Parsis from Afghanistan, Pakistan and Bangladesh who came to India before 31-12-2014.
++The Act of 2019 is not confined to the State of Assam, and will be applicable to all States and Union Territories of the country.
++The beneficiaries of Citizenship Amendment Bill,2019 can reside in any state of the country.
++Assam alone would not have to bear the entire burden and Government of India is committed to give all help to the State Government and people of Assam.
++The bill violates the Constitution because the classification it adopts is manifestly arbitrary and unjustified. Citizenship law defines a country’s political and constitutional identity. Laying down rules that determine membership in our political community only on the basis of one’s religious beliefs completely violates this principle.
####How The Citizenship (Amendment) Bill,2019 affect
the updated NRC list?
The Citizenship (Amendment)Bill,2019 is designed to grant citizenship to non-Muslim refugees persecuted in neighbouring countries, NRC does not distinguish migrants on the basis of religion. It will consider deporting anyone who has entered the State illegally post-March 24, 1971, irrespective of their religion. Currently there are six detention camps for illegal migrants in Assam but it’s still not clear how long the people will be detained in these camps. The process of deportation or duration of detention is not clear as it has not been stated by the government. But if the Bill becomes an Act, the non-Muslims need not go through any such process, meaning this will be clearly discriminating against Muslims identified as undocumented immigrants.
The present Government has taken several measures to implement the Assam Accord. An important pillar of Assam Accord is Clause 6 dealing with constitutional, legislative and administrative safeguards for protection of cultural, social and linguistic identity and heritage of Assamese people. MHA has notified on 05-01-2019, a High Level Committee consisting of eminent and knowledgeable persons from Assamese society with a very wide mandate to suggest such safeguards for protection of the Assamese identity, including reservation in the State Assembly and in jobs. The Committee will submit its report within 6 months.
Government has given approval to move the Bill in parliament granting ST status to 6 communities of Assam namely Tai Ahom, Koch Rajbongshi, Chutia, Tea Tribes, Moran and Matak. Government has waived the requirement of Cabinet approval.
Do like and share:
https://www.facebook.com/sabnamassociates/
লেখক- শবনম সুলতানা (8001922227)