সংখ্যালঘুদের প্রতি বৈষম্যের অভিযোগ এনে দলের সমস্ত পদ থেকে পদত্যাগ মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেত্রী ‘নুরি খান’

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের সংখ্যালঘু কংগ্রেস নেত্রী নুরি খান কংগ্রেসের মুখপাত্র এবং সর্বভারতীয় মহিলা কংগ্রেসের জাতীয় সমন্বয়কারী সহ সমস্ত পদ থেকে পদত্যাগ করলেন। মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি কমলনাথকে দেওয়া পদত্যাগপত্রে নূরী খান স্পষ্ট লিখেছেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে, কংগ্রেস দলের আদর্শে সংখ্যালঘু সমাজের প্রতি বৈষম্যমূলক মনোভাব রয়েছে, শুধুমাত্র এই কারণে দলে সুযোগ দেওয়া হয়নি। কারণ আমি সংখ্যালঘু শ্রেণীভুক্ত, এটা আমার রাজনৈতিক অভিযোগ নয়, আপনি নিজেই বাস্তবিক মূল্যায়ন করুন, রাজ্যের জেলাগুলিতে জেলা কংগ্রেস কমিটিতে কতজন সভাপতি সংখ্যালঘু গোষ্ঠী থেকে এসেছেন।

    নূরী আরও বলেন, “আমি নিজেও অনুভব করেছি যে আমি যেভাবে পরিশ্রম করেছি, শুধুমাত্র একটি বিশেষ শ্রেণীর লোক বলেই আমাকে দলে দায়িত্বশীল পদে রাখা হয়নি, অথচ এই পরিস্থিতি যদি আমার হয়, সংখ্যালঘু শ্রেণির কর্মীরা কতটা অবহেলিত আছে। সাম্প্রদায়িক সংগঠনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বিষয়টি কাগজে-কলমে রয়ে গেছে।। এটা আমাদের পার্টিতে বাস্তবায়ন করা হোক।তাই হয়তো আমরা আমাদের আদর্শ থেকে দূরে সরে যাচ্ছি!

    নুরী খান আরও বলেন যে “এমন পরিস্থিতিতে কাজ করা আমার পক্ষে অসম্ভব, আমি আপনার প্রতি আমার ব্যক্তিগত কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং আমার সমস্ত কংগ্রেস পদ থেকে পদত্যাগ করছি, আমি আমার প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করছি। ভবিষ্যতে আমার রাজনৈতিক আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করার জন্য আমি আপনাদের জনসেবার জন্য একটি নতুন রাজনৈতিক দিক নির্ধারণ করব এবং আপনাদের সকলের সহযোগিতায় একটি নতুন রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা ও চিন্তাভাবনা নিয়ে আপনাদের মধ্যে রাজনৈতিক জনসেবার জন্য কাজ করব বলে আশ্বস্ত করছি। এবং ভালবাসার জন্য ধন্যবাদ”!

    নূরী খান মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের তীক্ষ্ণ নেতা হিসেবে পরিচিত। কোভিড কালে নূরী খান শুধু এগিয়ে এসে হাসপাতালের অবস্থাই তুলে ধরেননি, বেসরকারি ও সরকারি হাসপাতালের অবহেলাও প্রকাশ করেছেন। । নুরী খান তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে নিজের কষ্টের কথা জানিয়েছেন।