|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : বৃহস্পতিবার ওবিসি ইস্যুতে রাজ্য সরকারের আইনী পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিতে বিধাননগরের অনগ্রসর কল্যাণ দপ্তরে অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি অভিজিৎ মুখার্জির সঙ্গে দেখা করে ডেপুটেশন দিল সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল।
মুহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন একশ্রেণীর বিদ্বেষ মনোভাবাপন্ন মানুষের করা জনস্বার্থ মামলার ভিত্তিতে গত ২১ মে কলকাতা হাইকোর্টে ২০১০ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গে জারি থাকা অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর (ওবিসি) শংসাপত্রগুলি অবৈধ বলে ঘোষণা করেছেন। আদালতের এই রায় অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলে আমরা মনে করছি।
তিনি বলেন আমরা মনে করছি এই রায় বিচারপতি রাজেন্দ্র সাচার কমিটির ও রঙ্গনাথ মিশ্র কমিশনের রিপোর্ট মোতাবেক অনগ্রসর ও পশ্চাৎপদ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একটি বৃহত্তর অংশের মানুষের সামাজিক ন্যায় পাওয়ার ক্ষেত্রে বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে। পিছিয়ে পড়া এই জনগোষ্ঠী শিক্ষা ও সামাজিক ক্ষেত্রে আরও পিছিয়ে পড়বে। তাই ওবিসি চিহ্নিত করণের ক্ষেত্রে কোন পদ্ধতিগত ত্রুটি থাকলে তা অবিলম্বে সংশোধন করে ওবিসি সুবিধাপ্রাপ্তদের অবিলম্বে পূর্বের ন্যায় সমস্ত সুবিধায় পূর্নঃবহাল করা দরকার।
ডেপুটেশন দিয়ে এসে মুহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন হাইকোর্টের রায়ের পরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন এই রায়ের বিরুদ্ধে সরকার সুপ্রিম কোর্টে যাবেন, কিন্তু দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল রায়ের পর প্রায় একমাস কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে সরকার বা দপ্তরের কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তিনি বলেন ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য রাজ্য সরকারকে অতিসক্রিয় হয়ে যথা সময়ের মধ্যেই অবিলম্বে আদালতে রিভিউ পিটিশন করতে হবে এবং রাজ্য সরকারকে দ্রুত সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতে হবে। আমরা মনে করি রাজ্যে ওবিসি সার্টিফিকেট প্রদানের জন্য সমস্ত নিয়ম কানুন মেনেই ওবিসি সার্টিফিকেট প্রদান হয়েছে। সেজন্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর রিভিউ পিটিশন এবং সুপ্রিম কোর্টে আবেদনের মাধ্যমে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীকে ওবিসি গোষ্ঠীভূক্ত করার সময়ের হেয়ারিং সংক্রান্ত সমস্ত প্রমাণ আদালতে দাখিল করুক।
এদিন প্রতিনিধি দলে ছিলেন সমাজকর্মী মহঃ নুরুদ্দিন, সংগঠনের সহ সভাপতি খলিল মল্লিক, গোলাম রহমান, সহ সম্পাদক আলি আকবর, কাজী মহসিন আজিম সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।