|
---|
মালদা: পণ্য পরিবহণের পরিমাণ বাড়াতে এবার তৎপর পূর্ব রেলের মালদহ ডিভিশনের আধিকারিকরা। সড়ক পথে বহন হওয়া পণ্যের বাজার ধরতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক শুরু করে দিয়েছেন। বেশ কিছুদিন আগে ওয়েস্ট বেঙ্গল পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (ডব্লুবিপিডিসিএল) কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক হয় রেল কর্তৃপক্ষের। ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন পূর্ব রেলের মালদহ ডিভিশনের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার যতিন্দ্র কুমার। ওই বৈঠক যথেষ্ট ফলপ্রসূ হয়েছে বলে রেলের তরফে জানানো হয়েছে।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ডব্লুবিপিডিসিএল-এর মতো সংস্থায় প্রচুর পরিমাণ ফ্লাই অ্যাশ তৈরি হয়। সব সময় যে এই ফ্লাই অ্যাশের পুরোটা ব্যবহার করা যায় তা নয়। ফলে অনেকটা জলাশয়ে ফেলে দিতে হয়। অথচ বিশেষ ধরণের ইঁট তৈরির ক্ষেত্রে এই ফ্লাই অ্যাশের বিপুল চাহিদা রয়েছে। এই ফ্লাই অ্যাশ নষ্ট না করে রেলপথে ওই বিশেষ ধরণের ইঁট প্রস্তুতকারক সংস্থায় পাঠানো হলে যেমন ডব্লুবিপিডিসিএল-এর মতো সংস্থাও লাভবান হবে তেমনই রেলও ওই পণ্য পরিবহণ করে যথেষ্ট লাভ করতে পারবে।
পূর্ব রেলের মালদা রেল ডিভিশনের যতীন্দ্র কুমার জানান আমরা সড়ক পথে বাহিত পণ্যের পরিমাণ জানার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি রেলপথে কত পরিমাণ পণ্য পরিবহণ করা হয় সেই তথ্যও আমাদের কাছে রয়েছে।
এবার সড়ক পথে পরিবাহিত হওয়া পণ্যের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ যদি রেলপথে টেনে আনা যায় তাহলে রেলের আর্থিক লাভ অনেকটাই বেড়ে যাবে বলে। এই বিষয়টি নিশ্চিত করতেই ডব্লুবিপিডিসিএল-এর পরে অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে ডিভিশনাল রেলওয়ে কর্তারা বৈঠক করবেন বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে। এমনকি মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের সঙ্গেও রেল কর্তৃপক্ষ বৈঠকে বসতে করবেন।
এই প্রসঙ্গে মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, রেলপথে পণ্য পরিবহণ করতে আমরাও যথেষ্ট আগ্রহী। কিন্তু রেল মালদহে এসে পৌছানোর পরে মাত্র ১২ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয় পণ্য সংগ্রহ করার জন্য। তারপরেই আর্থিক পেনাল্টি করা হয়। এই ধরণের নীতি থেকে রেল সরে এলে ব্যবসায়ীরাও রেলপথে পণ্য পরিবহণে আগ্রহ দেখাবেন। রেল কর্তৃপক্ষ বৈঠকে ডাকলে আমরা এই বিষয়টি তাঁদের সামনে তুলে ধরব।পাশাপাশি পরিকাঠামোর কিছু উন্নয়ন করা দরকার।