|
---|
খেমাশুলী: খেমাশুলীতে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে গত রবিবার বিকেল সাড়ে তিনটা নাগাদ রাস্তা পেরোতে গিয়ে মারুতি গাড়ির ধাক্কায় আহত হন স্থানীয় ধনিয়াপাড়া গ্ৰামের এক বৃদ্ধ। তাকে স্থানীয় খেমাশুলী প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখান থেকে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ঘটনায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। রাস্তা সম্প্রসারন হয়ে ফোর লেন হওয়ার পর থেকে খেমাশুলীতে একের পর এক দূর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। এক স্কুল ছাত্রীর মৃত্যুও হয় পথ দূর্ঘটনায়। আন্ডার পাসের দাবি তোলেন এলাকাবাসী। খেমাশুলী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বিশিষ্ট সমাজকর্মী গৌতম কুমার ভকত আন্ডার পাসের জন্য ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটির খড়্গপুর শাখায় প্রায় সাতশত ছাত্র ছাত্রীর স্বাক্ষর সংগ্রহ করে দাবিপত্র পেশ করেন। জাতীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রীকেও আন্ডার পাসের জন্য দাবি জানান গৌতম বাবু। এলাকাবাসী ও স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীরা দাবি তোলেন আন্ডার পাসের। খেমাশুলী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা একহাজার পঞ্চাশ। তার সাথে রয়েছে ব্যাঙ্ক অফ বরোদা র শাখা, যেখানে প্রতিদিন রাস্তা পারাপার করে আসেন কয়েকশত মানুষ। রয়েছে পোস্ট অফিস, প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র সহ বাজার। জাতীয় সড়ক সম্প্রসারনের ফলে ও চার লেন হওয়ার পর গাড়ীর গতি বেড়ে যায়, ঘটতে থাকে একের পর এক দূর্ঘটনা।
এদিনের দূর্ঘটনার পর দীর্ঘক্ষণ জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন এলাকাবাসী। কলাইকুন্ডা থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন ও অবরোধ মুক্ত করেন। এরপর ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি কর্তৃপক্ষ লেভেল ক্রশিং এর দিকে হাইওয়ে বরাবর গার্ড রেল বসিয়ে দেওয়ায় বিপদে পড়েন আশেপাশের বহু গ্ৰামের ছাত্রছাত্রী সহ সাধারণ মানুষজন। চড়কাবনী অঞ্চল সহ অন্যান্য গ্ৰামে যাওয়ার পথে বন্ধ হয়ে যায় সমস্ত ধরনের যানবাহন চলাচল। পুনরায় বিক্ষোভ শুরু হলে গার্ড রেল তুলে ফেলে কর্তৃপক্ষ। গ্ৰাম বাসীদের দাবি আশ্বাস দিয়েও ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি খেমাশুলীতে যে আন্ডার পাস করার কথা বলেছিলেন, তা অবিলম্বে করা হোক। নচেৎ আগামীদিনে আরো এধরণের দূর্ঘটনা ঘটতেই থাকবে।