বৃদ্ধ পিতামাতা কে বাড়িতে আনায় সল্টলেকে স্বামীর উপর নৃশংস অত্যাচার ইঞ্জিনিয়ার স্ত্রীর

বৃদ্ধ পিতামাতা কে বাড়িতে আনায় সল্টলেকে স্বামীর উপর নৃশংস অত্যাচার ইঞ্জিনিয়ার স্ত্রীর

    আলম সেখ, নতুন গতি : আজকে সারা পৃথিবী করোনা ভাইরাসের জর্জরিত, কোটি কোটি মানুষ আজ কর্মহীন, অর্থহীন, নিঃস্ব হয়ে মাঝ রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে কিন্তু কি করে এই মানবজাতির উপর সৃষ্টি কর্তার তরফ থেকে নেমে আসবে মায়া মমতা দয়া সাহায্য? যেখানে নিজের গর্ভধারিণী মা কে রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়, যেই পিতা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে নিজের সন্তান কে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করার পর তার বৃদ্ধ বয়সে সেই সন্তানের কাছে লাঞ্ছিত হয়। আজকে নতুন নয়, দীর্ঘ সময় থেকে সন্তানদের হাতে অপমানিত, লাঞ্ছিত, হয়ে আসছে পিতা মাতা। বিয়ের পর বেশি সংখ্যক সন্তানি ভুলে যাই মা বাবার মায়া মমতা, তাকে বাল্য কালের সেই স্নেহ, তাকে গর্ভেধারণ করার সেই মায়ের যন্ত্রণা একবারও সে অনুভূতি করে দেখে না। এর কারণ কি শুধুই তার স্ত্রীর ভালো বাসা? না তার উপর কোনো চাপ থাকে? আসুন দেখেনিন এক শিক্ষিত পরিবারের করুন দশা।

    ২২ মার্চ জনতা কারফিউ হয় দেশ জুড়ে, জনতা কারফিউ হওয়ার আগেই সল্টলেকের এক ছেলে নিজের মা বাবাকে বেশি নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য তাদের বৌদ্য বাড়িতে মা বাবাকে রেখে আসেন। কয়েক সপ্তাহ আগে আনব্লক করা হয় দেশ ফলে নিজের বৃদ্ধ পিতা মাতাকে আবার নিজের সল্টলেকের বাড়িতে ফিরিয়ে আনে ছেলে। মা বাবাকে ফিরিয়ে আনার পর থেকেই শুরু হয়ে যায় সেই ব্যক্তির উপর নৃশংস অত্যাচার তার ইঞ্জিনিয়ার স্ত্রীর তরফ থেকে।

    পেশায় দুজনই ইঞ্জিনিয়ার, ব্যক্তি সল্টলেকের সেক্টর পাঁচে একটি বহুজাতি কর্মসংস্থায় ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নিয়োগ আছে, তার স্ত্রীও ভিন্ন জায়গায় ইঞ্জিনিয়ার। যেই দিন থেকে সেই ব্যক্তি তার মা বাবাকে ফিরিয়ে এনেছে সেই দিন থেকেই তার উপর নৃশংস অত্যাচার শুরু হয়ে যায়, স্ত্রী তাকে গুরুতর ভাবে পেটাতে শুরু করে, ব্যক্তি সেই পেটানোর ভিডিও রেকর্ডিং করে সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেই, অল্প সময়ের মধ্যেই সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়।

    ব্যক্তির নাম নিবৃত, তিনি সাংবাদিক সামনে নিজেকে লুকিয়ে রেখে তার উপর হওয়া অত্যাচার বর্ণনা করেন, তিনি বলেন তাকে বেহিসাব চর মারা হয়েছে, নৃশংস ভাবে লাথি মেরেছে, এমনকি সিগারেটের ছেকা পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে তাঁকে। মহিলা সেই ব্যক্তিকে পেটানোর সময় বলে আমাদের রিলেশন খারাপ করার জন্য তুই তোর মা বাবাকে নিয়ে এসেছিস, বাড়িতে করোনা ছড়ানোর জন্য নিয়ে এসেছিস, ব্যক্তি স্ত্রীর হাতে মার খাওয়ার ভয়ে অস্বীকার করে যে সে তার মা বাবাকে নিয়ে আসেনি।

    বিষয় এখানেই শেষ নয়, এই রকম ভাবে সেই ব্যক্তির উপর নির্যাতন হওয়ার পরও বিধান নগর নর্থ থানার পুলিশ তার স্ত্রীর উপর ব্যবস্থা নিতে রাজি হয়না, তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে থানা থেকে বলা হয় এই সমস্ত আইন মহিলার পক্ষে, এই আইন আপনার উপর প্রযোজ্য নয়। ব্যক্তি থানা থেকে সরাসরি কোর্টে অভিযোগ দায়ের করে দেই।