অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার ডাকে রাজ্য সভাপতি চন্দ্রচূড় গোস্বামীর উদ্যোগে বোলপুরে রাইস মিলের সামনে শ্রমিকদের নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন

বাইজিদ মণ্ডল:-অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার পক্ষ থেকে আজ 30th May, মঙ্গলবার পবিত্র “গঙ্গাদশহরার” ভোর বেলা দক্ষিণেশ্বর গঙ্গায় স্নান করে “বীরভূম চলো” অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল।সেই মতো এদিন বীরভূম রেলস্টেশন মোড়,চৌমাথার মোড়, চিত্রা মোর,জাম্বনি মোড়, বিশ্বভারতী ইউনিভার্সিটির মোড় এবং ভোলেবোম রাইসমিলে সারাদিন ব্যাপী একাধিক পথসভা এবং জনসংযোগ কর্মসূচী পালন করা হয়। অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার রাজ্য সভাপতি চন্দ্রচূড় গোস্বামী একাধিক জনসভায় মূলত তাঁদের দাবিগুলো তুলে ধরেন। তিনি বলেন চন্দ্রচূড় গোস্বামীর বক্তব্য শান্তিনিকেতন মেলার মাঠে ঐতিহ্যমন্ডিত পৌষমেলা ও দোল উৎসব ফিরিয়ে আনতে হবে। এই ব্যাপারে উনি সরাসরি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে প্রশ্ন করে জন আন্দোলনের ডাক দেন। একই সাথে প্রসঙ্গত বোলপুরের বন্ধ হয়ে যাওয়া ভোলেবোম রাইস মিলের সামনে শতাধিক কর্মী ও অঞ্চলের শ্রমিকদের নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা। আগামীদিনে মেহনতি ভুখাপেট মানুষ গুলোর জন্য পথে নেমে ধর্মরক্ষা নিধি সংগ্রহ করে শ্রমিকদের হাতে কিছু অর্থ তুলে দেওয়ার পাশাপাশি সরকারের কাছে ওনাদের উপযুক্ত বিকল্প জীবিকা দাবী করেন চন্দ্রচূড় গোস্বামী। এর সাথে প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি প্রশ্ন করে উনি বলেন যে দল ও তার প্রধানমন্ত্রী “না খায়েঙ্গে, না খানে দেঙ্গে” ঘোষণা করে সেই দলে কি করে শুভেন্দু অধিকারী ও মুকুল রায়ের মত সারদা ও নারদ কাণ্ডে জড়িত অসাধু ব্যক্তি নিশ্চিন্তে আশ্রয় নেয় , কিন্তু ইডি সিবিআই তাঁদের কেশাগ্র স্পর্শ করতে পারেনা সেই বিষয়ে প্রশ্ন করেছেন তিনি। এর সাথে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার রাজ্য সভাপতি চন্দ্রচূড় বাবু তাঁদের টাকা থেকে গান্ধীর মুখ সরিয়ে নেতাজীর মুখ আনার যে আন্দোলন সেই আন্দোলন আরো তীব্র করার কথা ঘোষণা করেন। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা পশ্চিমবঙ্গে একমাত্র এবং প্রকৃত হিন্দুত্ববাদী দল হিসেবে অংশগ্রহণ করার কথা ঘোষণা করেন। সব পথসভাতেই অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার কর্মী ও সদস্যদের উৎসাহ ও ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। পথসভা গুলোতে রাজ্য সভাপতি চন্দ্রচূড় গোস্বামী ছাড়াও পার্টি মুখপত্র শ্রাবণী মুখার্জী, মিডিয়া ইনচার্জ অনামিকা দে, কালচারাল ইনচার্জ দেবশ্রী কাঞ্জিলাল এবং ট্রেড ইউনিয়ন লিডার হিসেবে জিতেন গোস্বামী, সরোজ কুমার ঘোষ এবং মিসেস বিশ্বাস সহ আরো অন্যান্য রা উপস্থিত ছিলেন। অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা আগামী দিনে অবস্থান বিক্ষোভ ও বৃহত্তর আন্দোলনের কথা ঘোষণা করলো বীরভূমের মাটিতে।