মাত্র কয়েক ঘণ্টা, ভাদ্র মাসের সংক্রান্তিতে শিল্পের দেবতা বিশ্বকর্মার  আরাধণায় মেতে উঠবে বঙ্গবাসী

নিজস্ব সংবাদদাতা;  আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা ভাদ্র মাসের সংক্রান্তিতে শিল্পের দেবতা বিশ্বকর্মার  আরাধণায় মেতে উঠবে বঙ্গবাসী। বিশ্বকর্মা কে বিশ্বব্যাপী এবং বিশ্বের সৃষ্টিকর্তা হিসেবে মানা হয়। গত দু’বছর করোনা আবহে ধুমধামের সাথে বিশ্বকর্মা পুজো হয়নি। ফলে চরম সমস্যায় পড়েছিলেন শহরের মৃৎ শিল্পীরা। তবে এবার পরিস্থিতি অনেক হলেও বদলেছে তাই কিছুটা হলেও আশার আলো দেখছেন মৃৎ শিল্পীরা। এ বছর গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে বৃষ্টি। তার সাথে বিভিন্ন দ্রব্য এবং প্রতিমা তৈরীর সাজ সরঞ্জামের দাম অত্যধিক বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা হলেও সমস্যা বাড়ছে বলেই অনেকে জানিয়েছেন।

    শিল্প পাড়ায় এখন চরম ব্যস্ততা। বাঁকুড়া শহরের শিল্প পাড়ায় চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির কাজ। রাত হলেই বিশ্বকর্মা ঠাকুর নিতে ক্রেতারা ভিড় জমাবেন। প্রায় ১৪ বছর বয়স থেকে প্রতিমা গড়ার কাজের সাথে যুক্ত রয়েছেন বাঁকুড়ার মৃৎ শিল্পী নীলকমল মালাকার। তিনি বলেন, প্রতিমা তৈরী করেই চলে সংসার। দীর্ঘ দু’বছর করনা আবহে শিল্পপাড়ায় ভাটা পড়েছিল। অবশেষে ভালো অর্ডার পেয়েছি। কিন্ত বৃষ্টির কারণে সমস্যা বাড়ছে।তবে জিনিস পত্রের দাম যেভাবে বেড়েছে, সেভাবে প্রতিমার দাম বাড়াতে চাইছেননা অনেকেই। ফলে সমস্যা বাড়ছে। আর এক মৃৎশিল্পী সুভাষ সূত্রধর বলেন, গত দু’বছরের তূলনায় এবছরের পরিস্থিতি কিছুটা ভালো। তবে যেভাবে খরচ বাড়ছে সেই পরিমাণ আয় হচ্ছে না। বেশি দাম শুনলেই ক্রেতারা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। তবে ঠাকুর বিক্রিতে নিজেদের মজুরী টুকুই উঠে আসবে বলে তিনি জানান।