একের পর এক মৎস্য জীবির জীবন কাড়ছে বনবিবির বাহন

বাবলু হাসান লস্কর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা : দিনের পর দিন সুন্দরবন লাগোয়া এলাকায় কান পাতলে শোনা যাচ্ছে স্বজন হারানোর কান্না। কি কারনে বাঘের মানুষ মারার প্রবনতা বেড়েছে তা খতিয়ে দেখছে বন দফতর।পুরুষানুক্রমে সুন্দরবনের মাছ, কাঁকড়া ও মধু সংগ্রহ করতে যেত যে সমস্ত পরিবার, আজকের দিনে তাদের পরিবারের সদস্যরা সুন্দরবনের জঙ্গলে যাচ্ছে কেবল মাত্র পরিবারের সদস্যদের মুখে অন্ন তুলে দেওয়ার জোগানের জন্য। আর তাতে একের পর এক পরিবারে নেমে এসেছে স্বজন হারানোর ব্যথা বেদনা। সুন্দরবন লাগোয়া নদীর চড়ে বসবাসকারী পরিবার বেশি আকৃষ্ট হয় বন জঙ্গলে। একটু বেশি লোভের বশবর্তী হতেই  অকালে দিতে হচ্ছে অমূল্য জীবন।  প্রতিনিয়ত মৃত্যু মিছিল বেড়ে চললেও বনে যাওয়ার প্রবণতা কমছে না এই সমস্ত পরিবারের সদস্যদের। বারে বারে বন দপ্তরের পক্ষ থেকে এলাকায় মাইকিং করে প্রচার করলেও পরবর্তীতে, শুকনো জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করতে কিম্বা খাঁড়িতে মাছ, কাঁকড়া ধরতে যাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কখনওবা একটু বেশি লোভের বশবর্তী হয়ে দীর্ঘ সময় ধরে নদী পাড়ি দিয়ে গভীর জঙ্গলের কাছাকাছি  কাঁকড়া ধরতে যাচ্ছেন আর এতে ঘটছে বাঘের আক্রমণ।

    যে সমস্ত বনবিবির বাহন মানুষের রক্তের স্বাদ গ্রহণ করেছে, তারা সদা সচেষ্ট থাকে মানুষের বিচরণে।  বাঘ যে স্থানে মানুষ কে একবার ঘায়েল করে দীর্ঘ দিন ধরে ওই জায়গাটিকে মনে রাখে, প্রতিদিন রুটিন মাফিক এক বার ঘুরে যায়।