ইছাপুরে বৃদ্ধা খুনের কিনারা পুলিশের; গ্রেফতার ১

উত্তর ২৪ পরগনা: দু’দিনের মধ্যে ইছাপুরে বৃদ্ধা খুনের কিনারা করল পুলিশ। এই ঘটনায় মৃতার পূর্বপরিচিত একজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। আর্থিক বিবাদের জেরে ওই বৃদ্ধাকে খুন করা হয়েছে বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ। বুধবার ধৃতকে বারাকপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে। ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের আরজি জানাবেন তদন্তকারীরা।

    রবিবার রাতে ইছাপুর নতুনপাড়া এলাকার বাসিন্দা বছর সত্তরের সিক্তা চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির দরজা খোলা এবং ঘরে আলো জ্বলতে দেখেন এক প্রতিবেশী। তখনই খটকা লেগেছিল। এরপর বাড়ির সামনে গিয়ে বৃদ্ধাকে ডাকাডাকি করেন তিনি। মেলেনি সাড়া। ঘরের ভিতরে ঢুকে দেখেন মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে বৃদ্ধার দেহ। এরপরই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ।

    কে বা কারা ওই বৃদ্ধাকে খুন করল সে তথ্যের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। তদন্তকারীরা প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে বৃদ্ধারই এক পরিচিতের খোঁজ পান। সেই অনুযায়ী অঞ্জন চৌধুরী নামে ওই ব্যক্তির খোঁজ শুরু করে পুলিশ। গাড়ুলিয়া থেকে তাকে পাকড়াও করেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় খুনের কথা স্বীকার করে নেয়।

    ট্রেন দুর্ঘটনায় পা বাদ গিয়েছিল অঞ্জনের। পা প্রতিস্থাপনের জন্য ২০ হাজার টাকার প্রয়োজন ছিল। ওই টাকা বৃদ্ধা দেবেন বলে আশ্বাস দেন। সে কারণে মাঝেমধ্যেই বৃদ্ধার কাছে আসত অঞ্জন। রবিবারও সে আসে। দরজা খুলে দেন বৃদ্ধা। ঘরে ঢুকে বসতেও দেন। এরপর অঞ্জনের জন্য চা করেন তিনি। চা পানের পরই টাকা দাবি করে সে। তবে বৃদ্ধা টাকা দিতে অস্বীকার করেন। দু’জনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এরপর অঞ্জন বৃদ্ধাকে খুন করে। সূত্রের খবর, শাড়ির আঁচল দিয়ে বৃদ্ধার গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে ফল কাটার ছুরি দিয়ে আঘাতও করে বৃদ্ধাকে। অভিযুক্ত প্রায় সবসময় মাদকাসক্ত থাকত বলেও সূত্রের খবর। বুধবার তাকে বারাকপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে। ধৃতকে জেরা করে আরও নানা তথ্য পাওয়া যাবে বলেই আশা তদন্তকারীদের।