| |
|---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : এক বগটুই কাণ্ড পাল্টে দিয়েছে অনেক কিছু। এ বার তার ফলশ্রুতি চোখে পড়ল মালদায় । গোপন সূত্রে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। তাতেই বেরিয়ে পড়ল মজুত করে রাখা এক রাউন্ড কার্তুজ এবং আগ্নেয়াস্ত্র। এখনও পর্যন্ত এক জনকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার আদালতে তোলা হয় তাঁকে। এর পিছনে আরও বড় চক্র জড়িত বলে সন্দেহ পুলিশের।. সম্প্রতি রাজ্য জুড়ে বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে যত বেআইনি অস্ত্রশস্ত্র, বোমা, গুলি মজুত করে রাখা আছে, একমাসের মধ্যে তা উদ্ধারের নির্দেশ দেন। তার পরই চরম তৎপরতা শুরু হয় পুলিশ-প্রশাসনের মধ্য। গত কয়েক দিনে একাধিক জেলা থেকে এমন অস্ত্রভাণ্ডার উদ্ধার করে এনেছে তারা। শনিবার রাতে মালদাতেও তেমনই বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র এবং কার্তুজের হদিশ মিলল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদার বামনগোলা থানার পাকুয়াহাট ফাঁড়ির অন্তর্গত শ্রীপুর শিব মন্দির এলাকার ঘটনা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার রাতে সেখানে অভিযান চালায় মালদা জেলা পুলিশ। সেখান থেকে এক রাউন্ড কার্তুজ এবং আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় স্থানীয় এক যুবককে।পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম মিলন মণ্ডল। বয়স ২৫ বছর। বামনগোলা ব্লকের জগদলা পঞ্চায়েতের গুয়াবারি এলাকায় বাড়ি তাঁর। পাকুয়াহাট ফাঁড়ির পুলিশ আধিকারিক রাকেশ বিশ্বাস বলেন,“জগদলা পঞ্চায়েতের শ্রীপুর শিবমন্দির এলাকায় ওই যুবককে একা ঘুরতে দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে আটক করা হয়। তল্লাশি চালিয়ে তাঁর কাছ থেকে একটি পাইপগান এবং এক রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। ওই যুবককে গ্রেফতার করে রাতেই ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয়। রবিবার ধৃত যুবককে জেলা আদালতে তোলা হয় তাঁকে।বগটুইকাণ্ডের পরই তৎপরতা সম্প্রতি বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে বোমার আঘাতে খুন হন স্থানীয় তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখের। তার পর এক ঘণ্টার মধ্যেই গ্রামের পর পর ১০টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তাতে দুই শিশু-সহ সাত জনের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় গোটা রাজ্য জুড়ে হইচই পড়ে গিয়েছে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। ঘটনার পর বগটুইয়ে পীড়িতদের সঙ্গে দেখা করতে যান মমতা। সেখানেই বেআইনি অস্ত্রের বিরুদ্ধে অভিযানের নির্দেশ দেন


