|
---|
নিজস্ব প্রতিবেদক:- মৃতদেহ সৎকার করতে গিয়ে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। মদ খেয়ে মৃত্যুর ঘটনা শহর ছাড়িয়ে এবার পৌঁছল গ্রামীন এলাকাতেও। পূর্ব বর্ধমানের মেমারীর রসুলপুর নিবাসী ভূতনাথ সাউ (৪৫) এর মৃত্যুতেই উঠছে এই প্রশ্ন। মৃতের পরিবারের অভিযোগ , শনিবার মৃতদেহ সৎকার করতে গিয়ে বাংলা মদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন ভূতনাথ । আর তার পরই মৃত্যু হয় তাঁর। জানা গিয়েছে, মৃত ভূতনাথ সাউ এর বাড়ি মেমারীর রসুলপুর এলাকায়। ভূতনাথ সাউ শনিবার রসুলপুর বিনয়পল্লী এলাকার শ্মশানে মৃতদেহ সৎকার করতে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি মদ খান । মদ খেয়ে শারীরিক অসুস্থতা বোধ করায় তিনি বাড়ি ফিরে বিছানায় শুয়ে পড়েন। তার পর থেকে বাড়ির কেউ আর ভূতনাথ সাউকে ডেকেও সাড়া পাননি। পরে পরিবারের লোকজন ঘরে ঢুকে দেখেন বমি করে ভূতনাথ বিছানা ভাসিয়ে দিয়েছে। ততক্ষনে শরীর অসাড় হয়ে গিয়েছে তাঁর।দ্রুত মেমারী গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে । সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরাই ভূতনাথ সাউকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে মেমারী থানার পুলিশ।রবিবার মৃত ব্যক্তির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ মর্গে। এসডিপিও (বর্ধমান দক্ষিন) সুপ্রভাত চক্রবর্তী জানিয়েছেন , “ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে । আর তার ভিত্তিতেই তদন্ত করা হবে। উল্লেখ্য, মদ খেয়ে বিষক্রিয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে । মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল আট।তবে এই ঘটনায় যে হোটেলের নাম প্রথমেই উঠে এসেছিল সেই হোটেলের মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ । হোটেল মালিকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির খুন, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ।