|
---|
নিজস্ব প্রতিবেদক:-স্বামী বিকেলবেলায় বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিলেন। সে সময় বারান্দায় এসে দাঁড়ান স্ত্রী। স্বামীর চলে যাওয়ার কিছু পরেই দুই যুবক এসে বলেন, ‘দাদা পাঠিয়েছেন’। এক কথা, দু’ কথার পর এক যুবক হঠাৎই গলায় ছুরি ধরেন ওই মহিলার। ভয়ে টুঁ শব্দটি করতে পারেননি জলপাইগুড়ি অরবিন্দনগরের গৃহবধূ। এরপরই তাঁর গলায় থাকা সোনার চেন টান মেরে নিয়ে পালিয়ে যায় দুই যুবক। রবিবার বিকেলের এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। স্থানীয়রা জানান, এর আগে এরকম ঘটনা কখনও এলাকায় ঘটেনি। এদিনের ঘটনা এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল।স্থানীয়রা জানান, রবিবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। জলপাইগুড়ি পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের অরবিন্দনগরে বাড়ি পরিতোষ ভাওয়ালের। তাঁর বাড়িতেই এদিন বিকেলে বাইকে চেপে দুই যুবক আসেন। অভিযোগ, গেট খুলে বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়েন তাঁরা। তার কিছু আগেই বাড়ি থেকে বেরোন গৃহকর্তা। পরিতোষ ভাওয়ালের স্ত্রী দুর্গা ভাওয়াল সে সময় বারান্দায় দাঁড়িয়েছিলেন।অভিযোগ, দুই যুবক দুর্গাদেবীকে বলেন পরিতোষবাবুই তাঁদের পাঠিয়েছেন। প্রথমে সন্দেহ হয়নি মহিলার। বারান্দার গেট খুলে দেন। অভিযোগ, এরপরই এক যুবক পকেট থেকে ছুরি বের করেন। তাঁর গলায় ধারাল অস্ত্রটি ধরে সোনার চেন ছিনিয়ে নেন। হাতের কাছে কিছু টাকাপয়সা পেয়ে সেগুলিও তুলে নেন বলে অভিযোগ। যদিও পরে ওই মহিলার চিৎকার শুনে বাইক নিয়ে ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটে পালান অভিযুক্তরা। ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় খবর দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্তও শুরু করেছে।গৃহকর্তা পরিতোষ ভাওয়াল বলেন, “রবিবার বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ আমি বাড়ি থেকে বেরোই। আমার স্ত্রী সে সময় বারান্দায় এসে দাঁড়ায়। আমার বেরোনোর কয়েক মিনিটের মধ্যেই দু’জন ছেলে এসে আমার স্ত্রীকে বলে ‘দাদা পাঠিয়েছে কাজের জন্য আমাদের’। এরপরই ভিতরে ঢুকে একটা ছুরি গলায় ধরে ভয় দেখিয়ে গলার সোনার চেনটা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। এর আগে এমন ঘটনা এলাকায় ঘটেনি। কীভাবে এটা হল বুঝতেই পারছি না।” পুলিশ কুকুর এনে তল্লাশি চালানো হয় ঘটনার পর।এলাকার এক বাসিন্দা জানান, ঘরে ঘুমিয়েছিলেন তিনি। হঠাৎই চিৎকার শুনে ছুটে আসেন। এসে দেখেন পড়শিদের ভিড় ভাওয়াল বাড়ির সামনে। বহুদিন ধরে তাঁরা এলাকায় থাকছেন। কিন্তু এমন ঘটনা কোনওদিন দেখেননি। পাড়ায় যে এমন ঘটনাও ঘটতে পারে ভাবতেই পারছেন না তাঁরা।