ফিটনেস সার্টিফিকেট নিতে চেয়েও পাচ্ছেন না বেসরকারি বাস রুটের মালিকরা  নিয়মের জটিলতায় ফেঁসে গিয়েছেন

নিজস্ব সংবাদদাতা :ফিটনেস সার্টিফিকেট নিতে চেয়েও পাচ্ছেন না বেসরকারি বাস রুটের মালিকরা  নিয়মের জটিলতায় ফেঁসে গিয়েছেন তাঁরা। এর ফলে বাস মালিকরা যেমন, একদিকে সমস্যায় পড়েছেন, তেমনই সমস্যায় পড়েছেন চালক, কন্ডাক্টর থেকে শুরু করে নিত্যযাত্রীরা।হাওড়া–মুকুন্দপুরের মধ্যে চলাচলকারী ২৪এ/‌১ রুটের বাসটি খুবই জনপ্রিয়। প্রতিদিন প্রচুর মানুষ এই রুটের বাসটিতে যাতায়াত করত। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এই রুটের ৩৭টি বাস বন্ধ রয়েছে। জেএনএনইউআরএম প্রকল্পের আওতাধীন এই রুটের বাসগুলিতে বাসমালিকদের শর্তসাপেক্ষে পারমিট দেওয়া হয়েছিল। বাসের মোট ৫০ শতাংশ টাকা কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার ভাগাভাগি করে ভর্তুকি দিয়েছিল। কিন্তু বকেয়া টাকা না মেটানোয় এই প্রকল্পের আওতায় থাকা বহু রুটের বাস উঠে যায়। তবে হাওড়া–মুকুন্দপুর রুট অবশ্য সচল ছিল। তবে ফিটনেস সার্টিফিকেট নেওয়ার বিষয়টি চালু হওয়ার পর থেকে এই রুটের বাসও বন্ধ হয়ে যায়।এই প্রসঙ্গে ওই রুটের বাস মালিকদের অভিমত, গত ১০ বছর ধরে মাসিক কিস্তির টাকা তাঁরা মিটিয়ে এসেছেন। শুরুর দিকে মাসিক ২০ থেকে ২১ হাজার টাকা করে তাঁরা কিস্তি দিতেন। পরে কিস্তির পরিমাণ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানালে তা মাসিক ১২ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। এখন ১২ হাজার টাকার ১২টি অগ্রিম চেক জমা রাখতেও তাঁরা তৈরি। সেইসঙ্গে ফিটনেস সার্টিফিকেটের জন্য ধার্য জরিমানা দিতেও তাঁরা তৈরি। কিন্তু তা সত্বেও বাস রাস্তায় নামানোর ব্যাপারে কোনও ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে না। এই প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ উন্নয়ন নিগমের কর্তারা জানান, বাস মালিকদের আর্থিক সমস্যার জন্য কিস্তির যে পরিমাণ কমানো হয়েছিল, তার সুদ ও পুরনো বকেয়া যথেষ্ট বেশি। সেটা মিটিয়ে দেওয়া হলেও ছাড়পত্র দেওয়া হবে। বাস মালিকদের অবশ্য বক্তব্য, ‘বাস চালালে ওই টাকা মিটিয়ে দিতে পারতাম। বাস না চলালে কোনওটাই করতে পারছি না।’