|
---|
এম এস ইসলাম ,বর্ধমান : পর্ষদের প্রথম ঘোষণায় যখন মিউনিসিপাল হাইস্কুলের ছাত্র সেখ সাঈদ ওয়াসিফ এর নাম ছিল না। পর্ষদের ঘোষণার পর শিক্ষিকা মা সায়রা বানু যখন কান্নাকাটি করছেন। তখন সেখ সাঈদ ওয়াসিফ পবিত্র কোরআন নিয়ে বসে গেছে কোরআন পাঠ করতে। কিছুক্ষণ পর স্কুল থেকে ফোন সেখ সাঈদ ওয়াসিফ রাজ্যে পঞ্চম স্থান দখল করেছে। মা সাইরা বানু ওড়গ্রাম চতুসপল্লী হাই মাদ্রাসার ইকোনমিক্স এর শিক্ষিকা। বাবা বাবা সেখ সাহি আফতাব বড় বেলুন হাই স্কুলের অংকের শিক্ষক। বর্ধমান গোলাপবাগ মোড়ের শরৎপল্লীর এক ধর্মভীরু ঈমানদার পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন সেখ সাঈদ ওয়াসিফ । পাঁচ ওয়াক্ত নামাজি ওয়াসিফ ফজরের নামাজ ও মিস করে না । নবী মোহাম্মদ সা : তার আদর্শ ।নবীর দেখানো পথ ও কোরআন হাদিসের নির্দেশ মেনে টাখনুর উপর প্যান্ট পরে। দিনে মাত্র পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা পড়াশোনা করে তার এই সাফল্য বলে জানালেন তার মা সায়রা বানু। ছবি আঁকে কিন্তু ছবি তার পছন্দ নয়। নিজের ছবিও সে মুছে দেয়। কারণ জীবজন্তুর ছবি অনেক ক্ষেত্রে ইসলামে নিষেধ থাকায় সে সেটা অক্ষর অক্ষরে পালন করে। গোটা পরিবার ইসলামের নির্দেশ মতো চলার চেষ্টা করে । নামাজ রোজা হজ জাকাত প্রতিটি ইসলামী নিয়ম কানুন কট্টরভাবে পালন করা হয় এই পরিবারে। নবীর আদর্শের পথে চলতে চাই সেখ সাঈদ ওয়াসিফ। বাবা শিক্ষক সেখ শাহী আফতাব বলেন পড়াশুনার ব্যাপারে ছেলের উপর কোনো প্রেসার দেননি। তাকে স্বাধীনভাবে পড়াশোনা করারই উৎসাহ দিয়ে গেছেন। ধর্মভীরু ওয়াসিমের নম্র ভদ্র মানুষের সঙ্গে ব্যবহার তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে।