উত্তরপ্রদেশে জয়ের পথে যোগীর বিজেপি; প্রতিক্রিয়া পাকিস্তানের থেকে

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের প্রবণতা থেকে এটা স্পষ্ট যে এবারও ক্ষমতাসীন বিজেপি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়তে চলেছে। ফের পাঁচ বছরের জন্য ইউপির ক্ষমতা দখল করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে তোলপাড় শুধু দেশেই নয়, পাকিস্তানের মানুষের চোখও এই নির্বাচনের দিকে।

    নির্বাচনী ফলাফলের প্রবণতায়, ইউপিতে যোগী আদিত্যনাথের ফেরার বিষয়ে পাকিস্তান থেকে প্রচুর প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।

    পাকিস্তানের রাজনৈতিক বিশ্লেষক মোশারফ জাইদি যোগী আদিত্যনাথের ইউপিতে ফিরে আসার বিষয়ে বলেছেন যে, যোগীর জয় নিশ্চিত করে যে ভারতের দিক এখন পরিবর্তন হবে না।

    তিনি তার অফিসিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে করা একটি ট্যুইটে লিখেছেন, ‘ইউপিতে যোগী আদিত্যনাথের জয় আরেকটি নিশ্চিতকরণ যে ভারত তার গতিপথ (হিন্দুত্বের রাজনীতি থেকে) আর পরিবর্তন করতে যাচ্ছে না। আগামী দিনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। অনেকে এ বিষয়ে আগে থেকেই সতর্কও করে আসছিলেন। পাকিস্তানকে ২০১৯-পরবর্তী ভারতের চেয়ে আরও সাহসী ভারতের সঙ্গে মোকাবিলা করতে প্রস্তুত থাকতে হবে।’

    ওয়াকাস আহমেদ নামের এক ইউজার লিখেছেন, ‘আরেকটি সমস্যা আছে। উগ্রবাদ বাড়লে তা দক্ষিণ এশিয়ার বাকি অংশে ছড়িয়ে পড়বে। আমরা সম্প্রতি দেখেছি কীভাবে বাংলাদেশে হিন্দুদের বিচার করা হয়। এটি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে এবং সংখ্যালঘুদের খুব কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে।’

    হাম নামে পাকিস্তানের একটি ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে লেখা হয়েছে, ‘ফ্যাসিবাদের জীবন বেশিদিন থাকে না।’ চাভাইজ খান নামের একজন ইজদার লিখেছেন, ‘এটা খুব স্পষ্ট হয়ে গেছে যে কায়েদে আজম (মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ) একজন দূরদর্শী নেতা ছিলেন। তিনি এই সব দেখতে পারেন. আল্লাহর কাছে শুকরিয়া যে আমাদের পাকিস্তান আছে এবং আমাদের এমন লোকের শাসনে থাকতে হবে না।’

    ফিদাতো নামে পাকিস্তানের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে ট্যুইট করা হয়েছে, “ইউপি নির্বাচনে বিজেপির ব্যাপক জয়ের পর, মুসলিম বিরোধী যোগী আদিত্যনাথ নরেন্দ্র মোদীর সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে তার অবস্থানকে সুসংহত করেছেন।”

    রুবা নামের এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘এটি ভারতীয় মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে খারাপ খবর। পাকিস্তান ও জিন্নাহকে যতই ধন্যবাদ জানাই, ততই কম। এবং আমার পরিবারকেও ধন্যবাদ, যারা অভিবাসী হয়ে এখানে এসেছেন।’