|
---|
ইলিয়াস মল্লিক, হুগলি: যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনে মানবিক বিপর্যয় ক্রমেই গভীর হচ্ছে। এই সংকটময় মুহূর্তে ডানকুনিভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘টিম বং প্রিয় ডানকুনি’ তাদের তৃতীয় ত্রাণ প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছে। এই প্রকল্পের আওতায় ফিলিস্তিনের ১২০টি পরিবারের প্রায় ৭২০ জন সদস্যের কাছে প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সংগঠনটির তরফে জানানো হয়েছে, “এই সহায়তার উদ্দেশ্য শুধু খাদ্য পৌঁছে দেওয়া নয়, বরং একটুখানি ভালোবাসা ও সহানুভূতির বার্তা পৌঁছে দেওয়া। যুদ্ধ ও অভাবের চাপে বিপর্যস্ত মানুষদের মুখে যদি এক মুহূর্তের জন্যও হাসি ফোটে, সেটাই আমাদের প্রকৃত সাফল্য।”
ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে ছিল খাদ্যশস্য, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য এবং দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত কিছু অত্যাবশ্যক উপকরণ। এগুলো সরবরাহ করা হয়েছে স্থানীয় অংশীদার সংগঠনের মাধ্যমে, যাঁরা সরাসরি দুর্গত পরিবারগুলোর কাছে এসব সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন। এই প্রজেক্ট বাস্তবায়নে সংগঠনটির সদস্যদের পাশাপাশি বহু দাতাও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। অনেকে আর্থিক সহায়তা করেছেন, অনেকে আবার স্বেচ্ছাশ্রমে অংশ নিয়েছেন। সকলের সম্মিলিত চেষ্টাতেই এই মানবিক উদ্যোগ সফল হয়েছে বলে জানিয়েছে টিম বং প্রিয় ডানকুনি।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “আমরা চাই না এটি শুধুমাত্র একটি এককালীন কার্যক্রম হোক। আমাদের লক্ষ্য ভবিষ্যতেও ধারাবাহিকভাবে এই ধরনের খিদমাত (সেবামূলক কাজ) চালিয়ে যাওয়া, আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানো।” তাঁরা সকল শুভানুধ্যায়ী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষের কাছে দোয়া ও সহমর্মিতা কামনা করেছেন—যাতে তারা আরও শক্তি ও সাহস নিয়ে মানবতার এই পথে এগিয়ে যেতে পারেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে যখন আন্তর্জাতিক স্তরে সংকট মোকাবেলায় নানা আলোচনা চলছে, তখন এই ধরনের তৃণমূল পর্যায়ের উদ্যোগগুলি একটি বড় বার্তা বহন করে—যেখানে ধর্ম, জাতি বা ভৌগোলিক সীমারেখা নয়, মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও সহানুভূতিই সবচেয়ে বড় শক্তি।