|
---|
নিজস্ব প্রতিবেদক, মেদিনীপুর: মাঝেমধ্যেই ছোটখাটো পুরস্কার জিততেন তিনি। কিন্তু এ বারে একবারে ‘ছক্কা’। রাতারাতি কোটিপতি । মুগবসান গ্রাম পঞ্চায়েত সচিব জিতেছেন ১ কোটি টাকা। কিন্তু এত টাকা নিয়ে কী করবেন, তা-ই ভেবে উঠতে পারছেন না আনন্দে আত্মহারা ওই অফিসার। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের মহারাজপুরে বাড়ি কেশপুর ব্লকের মুগবসান গ্রাম পঞ্চায়েতের সচিব স্বপন পন্ডিতের। ভাগ্য পরীক্ষা করতে প্রায়শই লটারির টিকিট কাটতেন বলে জানাচ্ছেন স্বপন বাবু। অবশেষে মিলল কোটি টাকার জ্যাকপট। তিনি এ দিন দশ সেমের 60 টাকা দিয়ে লটারি কেটেছিলেন বলে জানালেন।
স্বপন বাবু বলেন, ‘‘গত ৩-৪ বছর ধরে এলাকার একটি নির্দিষ্ট দোকান অর্থাৎ আমার ভাইপো শুভদীপ পন্ডিতের কাছ থেকে লটারির টিকিট কিনছি।’’ তিনি জানান, এর আগে বড় পুরস্কার বলতে ৪৫০০০ টাকা পেয়েছিলেন। শনিবার যখন ওই লটারি দোকানদার ভাইপো ফোন করে জানান যে তিনি কোটি টাকা জিতেছেন, বিশ্বাসই করতে পারেন নি। তিনি ভাবছিলেন মজা করছেন ভাইপো শুভদীপ । তিনি বাড়ির বাকি সদস্যদের বলেছিলেন ব্যাপারটা। তাঁদের অবস্থাও একই। প্রথমে সবাই বলেছিলেন, ‘হতে পারে না।’ কিন্তু হয়েছে। সত্যি সত্যি কোটি টাকা জেতার খবর পেয়ে বসে বসে টিকিটের নম্বর মেলান ওই অফিসার। স্বপন বাবু বলেন, ‘‘ওই টাকা নিয়ে এখনও ঠিক করতে পারিনি যে, কী করব এই টাকায়। তবে ওই টাকা নিয়ে বেশ কিছু পারিবারিক সম্পত্তি করব
এছাড়াও আমি যেহেতু প্রশাসনিক পদে চাকরি করি
তাই প্রশাসনের মাধ্যমে কিছু সামাজিক উন্নয়ন মূলক কাজে দেব। এবং মুগবসান গ্রাম পঞ্চায়েতে যেহেতু আমি কর্মরত তাই ওখানকার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন টার্গেট ওয়েলফেয়ার সোসাইটিকে রক্তদান শিবির করার খরচ আমি দেবো। ”
এখন নিরাপত্তার কথা ভেবে পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা দেয়া হয়েছে। কোটি টাকা জিতে কেমন লাগছে? প্রশ্ন করতেই স্বপন বাবুর সলজ্জ জবাব, ‘‘আপনারাই বলুন, কোটি টাকা জিতলে কেমন লাগতে পারে!’’ স্বপন বাবুর স্ত্রী মৌসুমী পন্ডিতও খুব খুশি। তিনি বলেন আমি চাই আমার স্বামী এই টাকা নিয়ে কিছু সমাজসেবা মূলক কাজকর্ম করুক।