|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: এবারে শিলিগুড়ির বদনাম মিটিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান পাপিয়া ঘোষ।ছয় মাসও হয় নি এই দায়িত্ব পেয়েছেন,কিন্তুু এক মুহূর্ত বসে না থেকে নেমে পড়েছিলেন নিজের কাজে।বুঝে গিয়েছিলেন এই বাংলার মাটিতে শিলিগুড়ি এমনই এক জায়গা যেখানে তৃণমূলের পতাকা কখনো গভীরভাবে পোতা যায় নি।তিনি বুঝে গিয়েছিলেন নবীনে প্রবীনের ফারাক বিস্তর।এখানে প্রচণ্ড পরিশ্রম না করলে কিছু করা প্রায় অসম্ভবই বটে।তাই শিলিগুড়ির দুই হেভিওয়েট নেতাদের সাথে নিজে গিয়েছেন প্রত্যেক অনুষ্ঠানে,চেষ্টার কোন ত্রুটি রাখেন নি,সব ওয়ার্ডের কর্মীদের সাথে সহজভাবে মিশে কথা বলতে চেয়েছেন।বিন্দুমাত্র অহংকার নেই এই মহিলার এমনটাই মনে করেন সাধারন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা।শিলিগুড়িতে আগে যেখানে কারো সাথে কারো মতেরই মিল ছিলো না,দলের অনুষ্ঠানে গিয়ে একজন আরেকজনের সাথে সহজভাবে কথাই বলতে পারতেন না,কিংবা বলতেনই না,কি পুরুষ কি মহিলা কি যুব সবার মধ্যে একই রোগ বাসা বেধে গিয়েছিলো,পাপিয়া ঘোষ এসে এই রোগ অনেকটাই কমিয়েছেন অন্তত সাধারন তৃণমূল কর্মীরা তাই মনে করেন।
আমি বিশ্বাস করি যদি এক না হতে পারা যায়,তবে কোন কাজই করা সম্ভব নয়,আমি তাই মনে করি,তাই আমার মনে হয়েছে শিলিগুড়ি জিততে হলে সবার প্রথমে মেটাতে হবে গোষ্ঠীকোন্দল।শিলিগুড়িতে কে প্রার্থী হবেন এটা নিয়ে যখন তোলপাড় গোটা শিলিগুড়িতে,তখন নীরবে কাজ করে গিয়েছেন।দলের নির্দেশে।আমি মমতা বন্দোপাধ্যায়ের একজন সৈনিক।তার নির্দেশেই আমি এগিয়ে চলেছি.আর আমার এখন একমাত্র লক্ষ্য দিদিকে শিলিগুড়ি উপহার দেওয়া,আর আমার বিশ্বাস আমি তা করতে পারবো।আমি সবকিছু করতে চাই শিলিগুড়ি পাবার জন্য।এবারে শিলিগুড়িতে প্রার্থী নির্বাচনের আগে প্রচণ্ড পরিশ্রম করেছেন এই মহিলা,সবার পরামর্শ এবং পিকের দলের সাথে আলোচনা করে কলকাতা গিয়েছিলেন চুড়ান্ত প্রার্থী নির্বাচন করতে।যোগ্য প্রার্থীদের মনে সাহস যুগিয়ে গেছেন,সবই আমি করছি একটাই কারনে শিলিগুড়ি পাবার আশায়,জানিয়ে দিলেন পাপিয়া ঘোষ,তৃনমুল যদি এবারে শিলিগুড়ি পুরসভা নিতে পারে তাহলে আমার চাইতে আনন্দ আর কেউ পাবেন না,জানালেন বর্তমান দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি।