|
---|
নিজস্ব প্রতিবেদক:- আরামবাগ রোডের ধারে ধানের জমি থেকে উদ্ধার মানব কঙ্কালের অংশবিশেষ। মাথার খুলি,পাঁজরের অংশ-সহ বেশ কিছু হাড়গোড় উদ্ধার করে পুলিশ। মানবদেহের কঙ্কালের অংশবিশেষ উদ্ধার ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য। মাধবডিহি থানার উচালন এলাকার ঘটনা। তবে এই প্রথমবার নয়, এর আগেও সল্টলেক, ভবানীপুর, কোচবিহার, ফলতা, জগদ্দল, বীরভূম-সহ একাধিক জায়গায় এর আগে কঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান আরামবাগ রোডের ধারে আজ দুপুরে মাঠে কাজ করতে যাবার সময় কৃষকরা ওই দৃশ্য দেখতে পান। মাঠের মাঝে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে মানব কঙ্কালের অংশবিশেষ। এরপরেই খবর দেওয়া হয় মাধবডিহি থানার পুলিশকে। মাধবডিহি থানার পুলিশ এসে চাষের জমিতে পড়ে থাকা মাথার খুলি,পাজরের হাড়,একটি করে পা ও হাতের হাড় উদ্ধার করে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মাধবডিহি থানার পুলিশ। উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলে সম্প্রতি একটি হাড় হিম করা ঘটনা প্রকাশ্য়ে আসে। ৬ বছর আগে দাদাকে খুন করে থানায় গিয়ে স্বীকারোক্তি দেন ভাই। বাড়ির উঠোন খুঁড়ে কঙ্কাল উদ্ধার করেপুলিশ। গ্রেফতার করা হয় দুই ভাইকেই। একে একে উঠে এল হাড়গোড়, খুলি। বাড়ির উঠোনে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয় নর কঙ্কাল। হাড় হিম করা এই ছবি উত্তর চব্বিশ পরগনার জগদ্দলের। স্থানীয় সূত্রে খবর, মা মারা যাওয়ার পর অন্যত্র চলে যান বাবা। কাউগাছি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার শ্যামনগর আদর্শপল্লির এই বাড়িতে থাকতেন তিন ভাই। ২০১৪-তে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান বড় ভাই নিপু শীল। এলাকা ছাড়েন দুই ভাই অপু ও তপু। তারই ৬ বছর পর অবশেষে এই নৃশংস ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।অপরদিকে একুশ সালে, উত্তর বন্দর থানা এলাকার স্ট্র্যান্ড রোডে একটি পরিত্যক্ত বাড়ির ছাদ থেকে কঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনায় রহস্য দানা বাধে। ওই বাড়িটি পোর্ট ট্রাস্টের হলেও সেটি ভাড়া দেওয়া হয়েছিল বেসরকারি সংস্থাকে। এদিকে বৃষ্টির জল জমে যাওয়ায় বাড়িটি পরিষ্কার করতে গিয়েই আসল ঘটনা প্রকাশ্য়ে আসে। কিন্তু প্রশ্ন ওঠে ওই নরকঙ্কালটি ছাদে কীকরে এল, উত্তর খুঁজতেই ঘটনাস্থলে আসে উত্তর বন্দর থানার পুলিশ। মূলত স্ট্র্যন্ড লাগোয় ওই পাম্প হাউজটি রক্ষাণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেয় পোর্ট ট্রাস্ট। এদিকে ছাদ পরিষ্কার করতে এসে ওই নরকঙ্কাল দেখে স্বাভাবিকভাবেই চোখ কপালে ওঠে কর্মীদের। তবে এই ঘটনা এই কলকাতার ভবানীপুরেও ঘটেছে। ভবানীপুরের পরিত্য়াক্ত দোকান থেকেও একটি কঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে।