পশ্চিম বর্ধমানের নিমশায় ইদ মিলন উৎসবে উদ্দীপনা

নিজস্ব সংবাদদাতা : করোনার উগ্র দাপটে অনেকটাই ছত্রভঙ্গ শান্তি সম্প্রীতির উৎসব ইদ।কিন্তু মানুষের হৃদয়ের উৎসাহে খামতি দেখা গেল না খনি – শিল্পাঞ্চলের নিমশায়। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতি বিজড়িত সংস্কৃতির অন্যতম পীঠস্থান নিমশায় ইদ মিলন উৎসবে মানুষের উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতো। জামুড়িয়া ব্লক ২ কিষাণক্ষেত মজদুর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি ও ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সংখ্যালঘু সেলের পক্ষে লাল্টু কাজীর উদ্যোগে আয়োজিত হয় ইদ মিলন উৎসব। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সদ্য বিজয়ী তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হরেরাম সিং, জামুড়িয়া ২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুকুমার ভট্টাচার্য, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রেনুকা বাউরি, জেলা পরিষদের শিক্ষা তথ্য ও সংস্কৃতির কর্মাধ্যক্ষা বকুল মন্ডল, ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী পলি বাগচি, শ্যামলা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান তরুণ গড়ি প্রমুখ।

    উৎসবে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে অনুষ্ঠান পরিচালনা করা হয়। ইদ উপলক্ষে এলাকার দুস্থ মানুষের মধ্যে বিধায়ক হরেরাম সিং ও দলীয় সভাপতি সুকুমার ভট্টাচার্যের উদ্যোগে বস্ত্র বিতরণ করা হয়। জামুড়িয়ার নতুন বিধায়ককে সংবর্ধনা জানানো হয়। বিধায়ক হরেরাম সিং হযরত সৈয়দ শাহ্ গোলাম আলি রব্বানী (রহ্) এর দরগায় চাদর চড়িয়ে সম্মান জানান। নির্বাচনের পূর্বে তিনি এই দালান পীর বাবার দরগায় এসেছিলেন বলে জানা যায়।
    বিধায়ক হরেরাম সিং ইদের শুভেচ্ছা জানিয়ে, তিনি মানুষের পাশে থাকবেন,এই আশ্বাস দেন। অতিমারির ভয়াবহ পরিস্থিতিতে তিনি মানুষকে সরকারের নিয়ম মেনে চলতে অনুরোধ করেন। ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুকুমার ভট্টাচার্য ইদ মিলন উৎসবে মানুষকে ইদে শুভেচ্ছা জানান। অনুষ্ঠানের প্রধান উদ্যোক্তা লাল্টু কাজী বলেন, ইসলামের অর্থ শান্তি। ইদের অর্থ খুশি। তৃণমূল নেতা ইদ মিলন উৎসবে মানুষের কাছে শান্তিতে খুশি করার আবেদন রাখেন । খনিঅঞ্চলের সংস্কৃতির অন্যতম অঙ্গন নিমশায় ইদ মিলন উৎসবে সামিল হয়েছিলেন সমাজের সর্বস্তরের সব বয়সের মানুষ। এই উৎসবকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়।