পথ হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশি যুবককে মা ও ভাইয়ের কাছে ফিরিয়ে দিল কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ

 

    নতুন গতি নিউজ ডেস্ক ঃ ১৫ জুন, সন্ধে ৬.৪৫। ধর্মতলা চত্বরে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন সাউথ ট্রাফিক গার্ডের সার্জেন্ট শোভনলাল মুখার্জি এবং সার্জেন্ট সুমন পাল। হঠাৎই তাঁরা দেখতে পান, ডোরিনা ক্রসিং-এর সামনে একজন যুবক উদ্ভ্রান্তের মতো ছোটাছুটি করছেন। কান্নাকাটিও করছেন।যুবকটির বয়স ২২-২৩ বছরের বেশি নয়।

    দুই সার্জেন্ট দ্রুত এগিয়ে আসেন যুবকটির সাহায্যে। জানতে পারেন, তাঁর নাম জীবন বাসফোর।বাংলাদেশের নাগরিক। ময়মনসিংহের হরিজন পল্লিতে বাড়ি। মা এবং ভাইকে নিয়ে এসেছিলেন কলকাতায়। কালীঘাট মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর সেদিন দুপুরেই বাসে চেপে ধর্মতলায় নামেন তিনজন মিলে। এরপর দুপুর ৩.৩০ নাগাদ মা আর ভাইকে প্রেস ক্লাবের সামনে বাস স্ট্যান্ডে অপেক্ষা করতে বলে ধর্মতলা চত্বরে হোটেল খুঁজতে আসেন জীবন। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে মা-ভাইকে নিয়ে যাওয়ার জন্য ফিরলেও তাঁদের ঠিক কোথায় অপেক্ষা করতে বলেছিলেন, সেই জায়গাটা কিছুতেই আর খুঁজে পাননি তিনি। অচেনা শহর, তার ওপর মা-ভাইয়ের সঙ্গে মোবাইলও নেই। অনেক খুঁজেও যখন মা-ভাইয়ের খোঁজ মিলছিল না, তখন ভয়ে ও দুশ্চিন্তায় রীতিমতো ভেঙে পড়েছিলেন জীবন।

    সবটা শোনার পর প্রথমেই তাঁকে ধাতস্থ করার চেষ্টা করেন সার্জেন্ট শোভনলাল মুখার্জি এবং সার্জেন্ট সুমন পাল। তারপর জীবনকে সঙ্গে নিয়েই ধর্মতলা বাস স্ট্যান্ডের আশেপাশে তাঁর মা ও ভাইয়ের খোঁজ শুরু হয়। বেশ খানিকক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে সন্ধে ৭.৩০ নাগাদ মেয়ো রোডে জর্জ টেলিগ্রাফ তাঁবুর সামনে সন্ধান মেলে দু’জনের। জীবনকে ফিরতে না দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন তাঁর মা আর ভাইও।

    পথহারা ভিনদেশি পরিবারের পুনর্মিলন, দুই সার্জেন্টের তৎপরতায়।ছবি রইল সাউথ ট্রাফিক গার্ডের দুই সার্জেন্ট শোভনলাল মুখার্জি এবং সুমন পালের। সঙ্গে রইল সপরিবারে জীবন বাসফোরের ছবিও।