বীরভূমের পাথরচাপুড়ি মাজারের আধিকারিকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল

খান আরশাদ, পাথরচাপুড়ি: বীরভূম জেলার অন্যতম ধর্মীয় পীঠস্থান পাথরচাপুড়ি। এখানের সুপ্রসিদ্ধ দাতা বাবার মাজারে নিয়োজিত সরকারী আধিকারিকের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ মিছিল করলেন গ্রামবাসীরা। এই বিক্ষোভ মিছিল পাথরচাপুড়ি গ্রাম পরিক্রমা করে মাজারের প্রধান ফটকের কাছে এসে শেষ হয়। তাঁদের অভিযোগ দাতা মেহবুব শাহ ওলির মাজারে নিয়োজিত এক্সিকিউটিভ অফিসার আব্দুল হাসিদ এখানে নানারকম দূর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন। গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে সেখ ফুলচাঁদ, মহঃ সাহাবুদ্দিন, মুজফফর হোসেন খান জানান আব্দুল হাসিদ সাহেব তাঁর অধিনস্থ কর্মচারীদের সম্পুর্ন নিজের ইচ্ছায় নিয়োগ ও কর্মচ্যুত করেন এবং তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এছাড়া পাথরচাপুড়িতে বেশ কিছু গাছ কাটা হয়েছিলো আব্দুল হাসিদের নির্দেশে। কিন্তু এরপর আর ওই গাছগুলির স্থলে কোন গাছ নতুন করে রোপণ করা হয়নি। যেখানে সর্বত্রই গাছ লাগান প্রাণ বাঁচান, একটি গাছ একটি প্রাণ প্রভৃতি স্লোগান দিয়ে গাছ লাগানোর তাগিদ দেওয়া হচ্ছে জনগনকে। সেখানে সরকারী আধিকারিক আব্দুল হাসিদ এখানে গাছ লাগানোর কোন উদ্যোগই নেননি বলে আক্ষেপ গ্রামবাসীদের। এছাড়া এখানকার যে কোন ধরনের উন্নয়নের কাজ তিনি স্থানীয়দের অন্ধকারে রেখে করছেন। ফলে প্রকৃত উন্নয়ন হচ্ছেনা বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা শাহাবুদ্দিন। সরকারী আধিকারিক আব্দুল হাসিদ অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবী তিনি কোনওভাবেই কোন দূর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন। এদিকে এই বিক্ষোভ মিছিল চলাকালীন সেখানে এসে উপস্থিত হন পাথরচাপুড়ি উন্নয়ন পর্ষদের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান তথা নলহাটির বিধায়ক মইনুদ্দিন শামস। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভকারীরা ওই সরকারী আধিকারিক আব্দুল হাসিদের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ তুলে ধরেন। মইনুদ্দিন শামস গ্রামবাসীদের বলেন বিষয়টি নিয়ে খুব শীঘ্রই তিনি বৈঠক করবেন এবং সমাধানের চেষ্টা করা হবে। তাঁর আশ্বাসে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ তুলে নেন।