|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : আগামী ৬ই সেপ্টেম্বর থেকে পাঁউরুটির দাম বাড়বে বলে একটি সংগঠন বলেছে, তাদের দাম বাড়ানোর কোন ক্ষমতা নেই। সামনে পুজার মরসুম তাই পাউরুটির দাম বাড়ছে না।আলু পিঁয়াজের সঙ্গে পাউরুটির তুলনা করলে হবে না। পাউরুটি শিল্প প্রাচীন শিল্প, পাউরুটি যেমন ধনী ব্যক্তিরা প্লেনে খান, তেমনি গরীব মানুষরা এক প্লেট ঘুগনির সঙ্গে একটি পাউরুটি খেয়ে দুপুরবেলার খাবার খান, পাউরুটি নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য তাই, যখন তখন খুশি মতো ,পাউরুটির দাম বাড়ানো যায় না। জয়েন্ট এ্যকশেন কমিটির সম্পাদক বিধায়ক ইদ্রিস আলী উপরিউক্ত কথা গুলো বলেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের সংগঠন ভারতের স্বাধীনতার আগে থেকেই চলে আসছে, সরকারের সঙ্গে আমাদের সংগঠনের সম্পর্ক স্বাধীনতার পর থেকেই। আমাদের সম্পাদক ছিলেন প্রখ্যাত সমাজসেবক শ্রী শম্ভু মল্লিক। তাঁর মৃত্যুর পর আমি সম্পাদক পদে আজ পর্যন্ত বহাল আছি।রাজ্য সরকার পাউরুটির দাম যখন নির্ধারিত করতেন ,তখন আমাদের সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে দাম নির্ধারিত করতেন।১৯৯০ সালের পর শ্রী অনিমেষ জানা এবং সেখ ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে ওয়েষ্ট বেঙ্গল বেকারস কো অডিনেশন কমিটি হয়।তারপর থেকে আমরা দুটি কমিটি মিলে জনসাধারণের কথা চিন্তা করে এবং বেকারী শিল্পকে বাঁচাতে, আমরা দুই সংগঠন মিলে পাউরুটির দাম নির্ধারিত করি।জনসাধারন আমাদের নির্ধারিত করা ন্যায্য মূল্যকে আজ পর্যন্ত মেনে নেন।আমরাও সেইভাবে জনস্বার্থে পাউরুটির দাম নির্ধারিত করি।গত ৩০শে জানুয়ারী থেকে আমরা পাউরুটির মূল্য প্রতি ৪০০(চারশো গ্রাম)গ্রাম চার টাকা করে বাড়াই। অর্থাৎ প্রতি ৪০০(চারশো)গ্রাম পাউরুটির দাম ছিল ২৪টাকা তা হয় ২৮টাকা,২০০গ্রাম পাউরুটির দাম ১২ টাকা ছিল তা বেড়ে হয়েছে ১৪টাকা।আজ পর্যন্ত সেই দাম চলে আসছে এবং সমস্ত মানুষ উক্ত দামে পাউরুটি ক্রয় করছে। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার মহেষতলা বিধানসভার বিজেপির যিনি প্রাথী ছিলেন, তিনি তিন চারজনকে নিয়ে একটি সংগঠন করেন। উক্ত বিজেপির নেতার কোনদিন কোন পাউরুটির কারখানা ছিল না এবং আজ ও নেই। উল্লেখ থাকে পশ্চিমবঙ্গে চার হাজার পাউরুটির কারখানা আছে তিন চার জন বাদে বাকি সবাই আমাদের এই দুই সংগঠনের সদস্য।চার হাজার বেকারীর মধ্যে মাএ তিন চারটে বেকারীকে নিয়ে যদি কেউ ভেবে থাকেন, পশ্চিমবঙ্গে পাউরুটির দাম বাড়াবো ,এটা মুর্খ লোকের কাজ ছাড়া কিছু নয়,এটা গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়লের মত অবস্থা। জয়েন্ট এ্যকশেন কমিটির পক্ষে বিধায়ক ইদ্রিস আলী বলেন,আমরা কোনভাবেই দাম বাড়াচ্ছি না এবং আমরা ছাড়া কাউরির দাম বাড়ানোর ক্ষমতা নেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান না পাউরুটির মতো নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যের দাম যখন তখন বাড়ুক। সততার প্রতীক পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা এবং পুজো মরসুমের কথা চিন্তা করে, জনসাধারণের কাছে আমাদের আবেদন বর্ধিত মূল্য দিয়ে কোন পাউরুটি কিনবেন না। পূর্ব নির্ধারিত প্রতি ৪০০ গ্রামের ২৮ টাকা এই দামেই কিনবেন। জয়েন্ট এ্যকশেন কমিটির সম্পাদক বিধায়ক ইদ্রিস আলীর এই বক্তব্য কে সমর্থন করেন ওয়েষ্ট বেঙ্গল বেকারস কো অডিনেশন কমিটির সম্পাদক সেখ ইসমাইল হোসেন, তিনি বলেছেন দাম বাড়ছে না।আজ কলকাতার মিলন মেলা অডিটেরিয়ামে ওয়েষ্ট বেঙ্গল বেকারস কো অডিনেশন কমিটির তরফ থেকে এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। উক্ত সভায় বক্তব্য রাখেন, পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট এ্যকশেন কমিটির সম্পাদক বিধায়ক ইদ্রিস আলী,শ্রী বিধান দাস, নতুন গতি পত্রিকার সম্পাদক ইমদাদুল হক নুর,কতুব উদ্দিন তরফদার প্রমুখ। উক্ত সভায় পাউরুটির কোন দাম বাড়ছে না বলে অনেকে বক্তব্য রাখেন।