|
---|
নিজস্ব প্রতিনিধি,পূর্ব বর্ধমানঃ প্রায় পাঁচশো বছর প্রাচীন দশভুজা মা মহিষাসুর মর্দ্দিনী পুজোয় মেতে ওঠেন কালনার মানুষ,শুধু কালনা নয় নদীয়া,হুগলী ও দুই বর্ধমান জেলার মানুষ ভীড় জমায় এই পুজোয়,পুজো ঘীরে বসে বিশাল মেলা।প্রাচীন এই পুজোর অপেক্ষায় থাকেন কালনার অধিবাসীরা। এই পুজো নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে প্রচুর পরিমানে পুলিশ মোতায়েন করা হয় মেলা ও পূজা প্রাঙ্গনে।
প্রায় পাঁচশো বছর আগে নদীয়ার রানা ঘাটের পাল চৌধুরী বাড়িতে মহিষাসুর মর্দ্দিনীর পুজো শুরু হয়েছিল,ঠাকুর বিসর্জন দেওয়ার পর ঠাকুরের পাটাতন ভাগীরথী নদীতে ভেসে চলে আসে কালনা গঞ্জের ঘাটে,জনশ্রুতি আছে ধর্ম প্রিয় ঈশ্বর পাল দেবীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে নদীর পারে এসে পাটাতন তুলে আনেন।চাল পট্টিতে হাবলা পাতার ঘর করে রেখে শুরুহয় পুজো,জয়া ও বিজযা কে দুই দিকে রেখে দশভুজা মা মহিষাসুর মর্দ্দিনীর মূর্তি গড়ে চাল ব্যাবসায়ীরা বাংলার শ্রাবন মাসে পূর্ণিমায় মহাধুম ধামে পুজো শুরু করেন,তার ফলে এই এলাকার ব্যাবসায়ীদের শ্রীবৃদ্ধি হয়। এই পুজোকে ঘিরে বসে মেলা,যতদিন গেছে ততই বেড়েছে এই পুজোর সুনাম,জল পথে ও স্থল পথে নদীয়া,হুগলী ও বর্ধমান সহ কলকাতা এমনকি দেশ বিদেশ থেকে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ পূর্ণার্থীরা ভীড় জমান এই পুজোয়।জাগ্রত দেবীর কাছে যে যা মানত করেন তা পূরণ হয় এমনি বিশ্বাস ভক্তদের।চারদিন ধরে চলে এই পুজো,এই পুজোয় দূর্গা পুজোর মত নিয়ম মেনেই পুজো করা হয়।শুধু কালনা নয় আশ পাশের জেলার মানুষের কাছে মহিষমার্দ্দিনী পুজোদূর্গা উৎসবের সমান।