ইয়াস নামক ঘূর্ণিঝড়ের ১৪ দিন কেটে গেল ও এখনো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেনি সুন্দরবন বাসী

বাবলু হাসান লস্কর দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা: যশ নামক প্রাকৃতিক বিপর্যয় গাঙ্গেয় সুন্দরবন এলাকায় আছড়ে পড়েছিল। আর এই আছড়ে পড়ার সাথে সাথে নদী বাঁধ ভেঙেছে। জমি নোনা জলে ভরে যায় এখনো পর্যন্ত সরেনি জল। নদী বাঁধ ভেঙ্গে যেখানে জল এসেছিল,সেই সমস্ত জায়গাগুলো কিছুটা হলেও শুকিয়ে যাচ্ছে । উপচে পড়া জল যেখানে এসেছে সেই সমস্ত জায়গাগুলিতে এখনো জল সরেনি ,সরার অবস্থায় নেই। তাতে মহামারির আকার ধারণ করার উপক্রম । কোথাও বা জল বাহিত রোগ, কোথাও বা ছড়াচ্ছে দূষণ। অধিকাংশ মানুষের জলবাহিত রোগের আশঙ্কা, পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্লিচিং পাউডার কিম্বা চুন।করুণ অবস্থায় এই মুহূর্তে, একদিকে পরিবারের সদস্যদের মুখে অন্ন তুলে দিতে নাজেহাল । লকডাউনের কড়াকড়িতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস। ঠিকমতো মিলছে না, দু’মুঠো খাবার যেটুকু মিলছে তা প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য । এই মুহূর্তে গৃহে বসবাসের অযোগ্য, আজ তারা দিনযাপন করছেন খোলা আকাশের নীচে । তবে কি তারা পুরনো ছন্দে ফিরবেন? এখন এই সকল পরিবারের চোখেমুখে করুন ছবি। দেখে মনে হয় সবই আমরা পুরানো ছন্দে ফিরতে পারব কি । সুন্দরবন বাসী আমরা কি বিধাতার রোষানলে। প্রতিবছর একটা-না-একটা দুর্যোগ আমাদের এই গাঙ্গেয় সুন্দরবন এলাকায় আসে। কখনো বা আম্ফান,কখনো বা আইলা,ফণি এমনই কিছুই ঘটে চলে। আর এই মুহূর্তে সুন্দরবনের অধিবাসী রা পরিবারকে গুছিয়ে নেওয়ার মুহূর্তেই প্রাকৃতিক বিপর্যয়। তাদেরকে সর্বস্বান্ত করে দেয়, জীবন – জীবিকার টানে নদীতে মাছ কাঁকড়া ধরেন যারা, তাদের এই পেশা এই মুহূর্তে বন্ধ। লকডাউন এর মধ্যেও নাভিশ্বাস তার ওপরে এলাকায় নুন আনতে পান্তা ফুরানো পরিবারগুলি এই মুহূর্তে করুন অবস্থায়। আর বিশেষ করে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে গোটা গাঙ্গেয় সুন্দরবন এলাকায় ।