|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: কলকাতা পুরসভার পর এবার শিলিগুড়ি শহরের নাগরিকদের সঙ্গে পুর পরিষেবা সংক্রান্ত বিষয়ে জনসংযোগ বাড়াতে “টক টু চেয়ারম্যান” ফোন ইন পরিষেবা চালু করল শিলিগুড়ি পুরনিগম। বুধবার শিলিগুড়ি পুরনিগমে সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানান শিলিগুড়ি পুরনিগমের প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান গৌতম দেব। পাশাপাশি এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য রঞ্জন সরকার ও বিবেক বেদ। মূলত শহরবাসীরা পুর নাগরিক পরিষেবা সংক্রান্ত বিষয়ে অভাব অভিযোগ সরাসরি ফোন করে প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যানকে জানাতে পারবে এই পরিষেবার মাধ্যমে। অভিযোগ পাওয়া মাত্র তা সমাধানের কলকাতায় পুর নির্বাচন শেষ হলেই রাজ্যের বাকী পৌরসভাগুলিতে পুর নির্বাচন করা হবে। আর তাই পুর নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই এবার “টক টু চেয়ারম্যান” চালু করল শিলিগুড়ি পুরনিগম। যে কোনও সমস্যা কিংবা অভিযোগ নিয়ে সরাসরি চেয়ারম্যানকে ফোন করা যাবে। সেই কাজ দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করবে পুরনিগম। এই শনিবার থেকেই চালু হয়ে যাবে এই প্রকল্প।
রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের এবার লক্ষ্য শিলিগুড়ি পুরনিগম দখল করা। কারণ গোটা রাজ্যে একমাত্র এই পুরনিগম এখনও বামেদের দখলে। তাই এবার পুরনিগম নির্বাচন জেতার জন্য কথা বলেছেন গৌতম দেব।
রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের এবার লক্ষ্য শিলিগুড়ি পুরনিগম দখল করা। কারণ গোটা রাজ্যে একমাত্র এই পুরনিগম এখনও বামেদের দখলে। তাই এবার পুরনিগম নির্বাচন জেতার জন্য নানান কৌশল নিচ্ছে তৃণমূল। সর্ব প্রথমে প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেবকে চেয়ারম্যান করা হয়। তার সঙ্গে আরও কয়েকজনকে তৃণমূল কাউন্সিলর সহ নেতাকে প্রশাসক মন্ডলীতে নেওয়া হয়। এবার শিলিগুড়ি পুরনিগমের পক্ষ থেকে চালু করা হলো নতুন প্রকল্প “টক টু চেয়ারম্যান”। এবিষয়ে বুধবার শিলিগুড়ি পুরনিগমে প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান গৌতম দেব বলেন, অনেক নাগরিক আছেন যারা পুরনিগমে আসতে পারেন না। আবার অনেকের নানান অভিযোগ থাকে তা জানাতে পারছে না। তাই আমরা সকল নাগরিকদের সুবিধার্থে এই প্রকল্প চালু করলাম। যে কেউ আমাদের টোল ফ্রি নম্বর ১৮০০ ৩৪৫ ৩৩৫০ এ ফোন করে তাদের অভিযোগ কিংবা সমস্যার কথা তুলে ধরতে পারেন। প্রতিটি কল রেকর্ড করা হবে। আর আমাদের এক্তিয়ারের মধ্যে থাকলে তাদের দাবী-দাওয়া দ্রুত পূরণ করা হবে।
আর যদি আমরা না করতে পারি সেটাও জানিয়ে দেওয়া হবে। প্রতি শনিবার সকাল ১১.৩০ থেকে ১২.৩০ টা এই একঘন্টা আমি নিজে কথা বলব নাগরিকদের সঙ্গে। আমার সঙ্গে অন্যান্য আধিকারিকরাও উপস্থিত থাকবেন। তবে আমি যদি কোনও শনিবার না থাকতে পারি তাহলে আমি বুধবার দিন বসব। সেটা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। এদিন তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় নির্বাচন সামনে দেখেই কি এই উদ্যোগ। সঙ্গে সঙ্গে গৌতম দেব বলেন, নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলার জন্যই আমাদের এই উদ্যোগ। এটার সঙ্গে নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই। আমরা আসার পরেই এটা চালু করব ভেবেছিলাম।