|
---|
নরসিংহ দাস , নতুন গতি , মেদিনীপুর : মেদিনীপুর শহরে আজ সূর্যাস্তের পর অনেকেই হয়তো লক্ষ্য করেছে এই গোলাপী আকাশ। এমন ঘটনা যে কোনও জায়গা থেকে দেখা যেতেই পারে। তবে শুধুমাত্র সূর্যোদয়ের আগে বা সূর্যাস্তের পরেই তা সম্ভব। সাধারণত শহরাঞ্চলের আকাশে এবং দাবানলযুক্ত বনাঞ্চলের আকাশে কিছুক্ষনের জন্য দেখা যায় এমন আকাশের রং।
কেন দেখা যায় এমন আকাশ! সাধারণত ঊষা ও গোধুলীর সময় আকাশের রং লাল, কমলা ও হলুদ বর্ণের হয়ে থাকে। এর কারন- ভূপৃষ্ঠের যে স্থান থেকে ঊষা ও গোধুলী পরিলক্ষিত হয়, ঐ সময় সূর্যের আলো বায়ুমন্ডলের অনেকটা স্তর ভেদ করে আসে। সেই সময় ক্ষুদ্র তরঙ্গযুক্ত নীল, সবুজ বর্ণ বায়ুমন্ডল ভেদ করে আসতে পারে না। অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ তরঙ্গযুক্ত লাল, কমলা ও হলুদ রং বায়ুমন্ডল ভেদ করে আসে বলেই লাল ও কমলা রঙের আকাশ দেখা যায়।
তাহলে গোলাপী আকাশ কেন! সাধারণত বায়ুমন্ডলের উর্দ্ধ স্তরে পরিষ্কার মেঘ ও জলকণা এবং নিম্ন স্তরে অত্যধিক মাত্রায় ধূলিকণা ও দূষণকারী গ্যাস অবস্থান করার কারণে। সূর্যাস্তের সময় সূর্য ক্ষুদ্র কোণে (১০°এর কম) অবস্থান করায় বা সূর্যাস্তের পর সূর্য দিগন্তরেখায় রেখার নীচে অবস্থান করায় দীর্ঘ বায়ুমন্ডলীয় পথ অতিক্রম করে সূর্য রশ্মি প্রতিফলিত হয়। সূর্য থেকে আগত সাদা বর্ণের মধ্যে কেবলমাত্র দীর্ঘ তরঙ্গযুক্ত লাল, কমলা ও হলুদ তরঙ্গ দীর্ঘ বায়ুমন্ডলীয় স্তর ভেদ করে ভূপৃষ্ঠ পৌঁছায়। আর ঐ লাল বা কমলা বর্ণের তরঙ্গের পেছনে সাদা মেঘ অবস্থান করলেই আকাশের রং গোলাপী বর্ণ ধারণ করে।