পিতৃহারা কন্যার পড়াশোনার দায়িত্ব নিলেন সাগরদিঘির বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস

রবিউল ইসলাম, সাগরদিঘি : আস্থা, ভরসা আর পরম নির্ভরতার নাম বাবা। বাবা এমন এক বৃক্ষ, যে বৃক্ষের ছায়ায় আস্থার খোরাকে বেঁচে থাকার শক্তি পায় সন্তান। প্রতিটি সন্তানের কাছেই বাবা মানে শক্তি আর সাহস। ঝড়ে হঠাৎ ভেঙে যাওয়া বটবৃক্ষের মতো হয়তো কারও কারও জীবনে বাবা নামক বৃক্ষটি হারিয়ে যায়। তখন বটবৃক্ষের নিচে থাকা গাছগুলোর মতো বাবাহারা সন্তাদের সমস্ত ঝড়-বৃষ্টি-রোদ মোকাবেলা করে পৃথিবীতে টিকে থাকতে হয়। সম্প্রতি মাস আড়াই আগে অষ্টাদশ লোকসভার নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন তৃণমূল কংগ্রেসের একনিষ্ঠ কর্মী বিশ্বনাথ সরকার। নুন আনতে পান্তা ফুরায় – অভাব অটনের সংসারে রেখে গেছেন স্ত্রীসহ এক কন্যা ও পুত্র সন্তানকে। প্রয়াত কর্মীর বাড়ি মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির কাবিলপুরে। প্রয়াত কর্মীর বাড়ি গিয়ে পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন বিশিষ্ট শিল্পপতি তথা সাগরদিঘির বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস। বিধায়ক প্রয়াত কর্মীর স্ত্রীকে সবরকম ভাবে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন, পাশাপাশি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পাঠরত তার কন্যা শ্রাবণী সরকার এর পড়াশোনার দায়িত্বভারের প্রস্তাব দেন বিধায়ক।বিধায়কের কথায় প্রয়াত কর্মীর মেয়ে শ্রাবণী সরকারকে নিয়ে আশায় বুক বেঁধেছেন মা। পিতৃহারা শ্রাবণীকে বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস তার নিজস্ব উমরপুর O2 পাবলিক স্কুলে বিনামূল্যে আবাসিকে ভর্তি করে দিয়েছেন। কাবিলপুর থেকে মা’কে ছেড়ে মেয়ে শ্রাবণী সরকার মা-বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি দিয়েছে। বড়ো হয়ে ডাক্তারী পড়াশোনা করে সমাজের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চাই বলে জানাই পিতৃহারা কন্যা শ্রাবণী সরকার।শ্রাবণীর মা মানবিক বিধায়কের প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ প্রকাশ করেছে।সাগরদিঘিরবাসীর কাছে বিধায়কের এই মানবিক সিদ্ধান্ত খুবই প্রশংসা কুড়িয়েছেন।