পিএমএওয়াই তালিকায় নেই নাম, মাথাগোঁজাবার একমাত্র ঠাই কাঁচা বাড়িটিও ভেঙে পড়লো বিধবা মহিলার

 

    মহম্মদ নাজিম আক্তার,নতুন গতি,হরিশ্চন্দ্রপুর,১২ অক্টোবর: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা তালিকায় নেই নাম।মাথা গোঁজাবার একমাত্র ঠাঁই কাঁচা বাড়িটিও ভেঙে পড়লো বিধবা মহিলার। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন মা ও ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সন্ধ্যা ছয়টা নাগাদ হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের হরিশচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সন্তোষপুর গ্রামে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মা মহমুনা বেওয়া (৫৫) ও ছেলে সহবুল হক(২৮)। রবিবার সন্ধ্যা থেকে খোলা আকাশের নিচে পলিথিন টাঙিয়ে দিন কাটাচ্ছেন মা ও ছেলে।

    জানা যায় ছেলে সহবুল হক মা ও স্ত্রীকে নিয়ে একসঙ্গে ভাঙাচোরা দুটি কাঁচা বাড়িতে থাকতো। লাগাতার বৃষ্টির জেরে মাটির দেওয়ালে ফাটল ধরে যায়। রবিবার সন্ধ্যার সময় দেওয়াল ধ্বসে পড়ে। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পায় পরিবারের সদস্যরা।

    মহমুনা বেওয়া জানান মা ও ছেলের একটি করে দুটি জরাজীর্ণ কাঁচা বাড়ি ছিল। কোনরকম খুটি দিয়ে দিন গুজরান করত। বাড়ি ভেঙে পড়ার একটা আতঙ্ক সবসময় লেগেই থাকত। রবিবার তাই হল। একমাত্র বসবাস করার কাঁচা বাড়িটি ভেঙে যাওয়ায় মা ও ছেলের আশ্রয় হয়েছে খোলা আকাশের নিচে।

    তিনি আরো জানান, বাস্তু ভিটে ছাড়া তাদের কোন জমি নেই। ছেলের সঙ্গেই থাকে সে। স্বামী আবুল কালাম ৬ বছর আগে শ্বাসকষ্ট রোগ জনিত কারণে মারা যায়। ছেলে দিনমজুর। কোনরকম দিন গুজরান করলেও এই লকডাউনে নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। বিধবা ভাতা ও রেশন থেকে খাদ্য সামগ্রী পেলেও আর্থিক অবস্থা দুর্বল হওয়ার কারণে কিভাবে ঘর মেরামত করবে তার চিন্তায় ঘুম উড়েছে।

    হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সাহানাজ খাতুন জানান ঘর ভেঙে পড়ার খবর পেতেই তার বাড়িতে ছুটে যান। সরকারি থেকে যাতে বাংলা আবাস যোজনা পাই তার জন্য ব্লক প্রশাসনের কাছে বিশেষ আবেদন করবেন বলে জানান।

    ভিডিও অনির্বাণ বসু তদন্ত করে সরকারি সাহায্য পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন।