নাগরিকত্বের নামে অসমের উচ্ছেদ অভিযানের উপর নাজবুল হোসেনের লেখা কবিতা ‘লাঠি’

লাঠি – নাজবুল হোসেনে

     

    সাত পুরুষের জন্মভিটে থেকে

    উচ্ছেদ হবে তুমি”

    তথাকথিত রাম রাজত্বে…।

    চুপ

    একেবারে চুপ।

    তিল তিল করে গড়া..

    মাথা গোঁজার শেষ অবলম্বনটুকু

    খড় কাঠের ছোট্ট কুঁড়ে

    তোমার অবুঝ শিশুর সামনেই

    ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।

    তুমি রবে নিশ্চুপ।।

    প্রতিবাদ করবে?? এতো আস্পর্ধা তোমার…।।

     

    তোমার সন্তানের

    ছেঁড়া বই আর ভাঙা ঘরের স্থূপ খুঁজে

    লাঠি হাতে

    প্রতিরোধে দাঁড়াও….

    এ কোন সাহসে….? ।

    শাসকের পবিত্র ছেলেদের সম্মুখে।।

    ‘ন্যায়াধিকারের চেয়ে আইন বড় ‘

    –এ দৈব বাক্য ভুলিলে কেমনে? |

     

    তোমার জাতির রক্তে কেনা স্বাধীন ভূমিতে,

    বাসা বাঁধার

    অধিকার চাও কোন দুঃসাহসে?

    বাদুড়িয়ার বাঁশের কেল্লার কথা ভাবছ?

    শহীদ তিতুও জীবনের জলে স্বপ্ন বাঁচিয়েছিল।

    দুজনের হাতেই লাঠি..

    একজন রাষ্ট্র

    অপরজন রাষ্ট্রদ্রোহী।

    তোমার লাঠি বাঁশ

    ওদের লাঠি আইন….।

     

    নীরব কেন?

    আখলাখ পেহলু খানের রক্ত আর

    আফরাজুলের পোড়া ছায়

    কপালে মেখে,

    তোমরাও সমস্বরে চেঁচাও…

    ব্যাটা অনুপ্রবেশকারী…..

    বাংলাদেশি…. রোহিঙ্গা….