|
---|
বাইজিদ মন্ডল, ডায়মন্ড হারবার: বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম দিবস পালিত হল ডায়মন্ড হারবার ২নম্বর ব্লক সরিষা ২৪৬ মোড় তৃনমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ের সামনে। ডা:হা: ব্লক২ তৃনমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জন্মদিবসে শ্রদ্ধা জানানো হলো বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে। উপস্থিত ছিলেন ব্লক২ সভাপতি অরুময় গায়েন,অরবিন্দ মন্ডল, নীতিশ মোদক, রফিক মোল্লা,সেলিম সহ অঞ্চলের আরও অনেকে। অরুময় গায়েন বলেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের পাশাপাশি কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তিতে মাল্যদান ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। গানে,কবিতায় আলোচনায় স্মরণ করা হয় দুই মহান কবিকে।এবং দুই মহান কবি রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল সুসম্পর্কে আরও জানা যায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৪০০ সাল’ কবিতা লেখেন ১৩০২ বঙ্গাব্দের ফাল্গুন মাসে। কবিতাটিতে রবীন্দ্রনাথ শতবর্ষের পরের পাঠককে বসন্তের পুষ্পাঞ্জলি পাঠিয়েছেন।
“আজি হতে শতবর্ষ পরে
কে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানি কৌতুহলভরে, আজি হতে শতবর্ষ পরে!”
কাজী নজরুল ইসলাম ১৩৩৪ সালের আষাঢ় মাসে তাঁর ১৪০০ সাল’ কবিতায় এর উত্তর লেখেন। তাতে রয়েছে রবীন্দ্রনাথের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা ও ভক্তি।
“আজি হতে শতবর্ষ আগে
কে কবি,স্মরণ তুমি করেছিলে আমাদেরে শত অনুরাগে,
আজি হতে শতবর্ষ আগে!”
রবীন্দ্রনাথের প্রতি নজরুলের মনোভাবের অকৃত্রিম পরিচয় ফুটে উঠেছিল কবিতাটিতে। বাংলা সাহিত্যের দুই মহান কবির মধ্যে যে গভীর সুসম্পর্ক ছিল তা আমাদের অনেকেরই অজানা।
রবীন্দ্রনাথ যেমন অনুজ নজরুলের প্রতি আশীর্বাণী প্রদান করে প্রীত হয়েছেন, তেমনি নজরুলও অগ্রজের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে হয়েছেন ধন্য। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর রচিত ‘বসন্ত’ গীতিনাট্যটি কাজী নজরুলকে উৎসর্গ করেছিলেন।সেটি ছিল রবীন্দ্র পরিবারের বাইরে প্রথম কাউকে একটি বই উৎসর্গ করার ঘটনা।রবীন্দ্র-নজরুল সম্পর্ক বরাবর ছিল খুবই ভালো। কবি নজরুল ইসলাম সৈনিক হিসাবে যখন চাকুরি করে ২১ বছর বয়সে কলকাতায় ফিরে আসেন কলেজ স্ট্রিটে ‘বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতি’র অফিসে ওঠেন নজরুল। তখন তাঁর বাক্স-পেটরার মধ্যে ছিল কবিতার খাতা,গল্পের খাতা, পুঁথি-পুস্তক, মাসিক পত্রিকা এবং রবীন্দ্রনাথের গানের স্বরলিপি। বহু রবীন্দ্র সঙ্গীত তাঁর মুখস্থ ছিল।