কেশপুরে পুলিশ দিবস উদযাপন ও সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান

কেশপুর: রাজ্যে শাসক দলের অঙ্গুলিহেলনে পুলিশ কাজ করছে বলে বরাবরই অভিযোগ করেন সিপিএম সহ।বিরোধীরা। যদিও অস্বীকার করার জায়গা নেই যে বাম আমলে এক শ্রেণীর পুলিশ তাদের আঙ্গুলিহেননে কাজ করতো। সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করলেন, ‘ছোট-খাটো ভুল’ হলেও পুলিশের ‘আত্মত্যাগ’ মনে রাখার মতো। করোনা পরিস্থিতিতে শান্তি রক্ষার সাথে সাথে করোনা সচেতনতা প্রচার থেকে বিভিন্ন কাজকর্ম সাধারণ মানুষের মনে দাগ কেটেছে। পুলিশের আত্মত্যাগের জেরেই অসংখ্য মানুষ করোনাভাইরাসের হাত থেকে বেঁচে গিয়েছেন। কিন্তু এদিকে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে অনেক পুলিশকে প্রাণও হারাতে হয়েছে। তাঁদের এই আত্মত্যাগের দাম দিতে হবে। তাঁদের সম্মান করতে হবে।’

    বাংলার পুলিশকে একসময় স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের সঙ্গে তুলনা করা হত। কিন্তু এখন স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডকেও ছাপিয়ে গিয়েছে এ রাজ্যের পুলিশ। সোমবার নবান্নে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এভাবেই রাজ্য পুলিশের ভূয়সী প্রশংসা করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    তাই পুলিশের ভূমিকাকে কুর্নিশ জানিয়ে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত, এখন থেকে প্রতি বছর সেপ্টেম্বরের প্রথম দিন ‘পুলিশ দিবস’ পালন করবে রাজ্য সরকার। একই সঙ্গে পুলিশের জন্য এক গুচ্ছ সুবিধার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    গোটা রাজ্যের সঙ্গে আজ সাড়ম্বরে কেশপুর থানাতেও উদযাপিত হলো পুলিশ দিবস। কেশপুর পুলিশ প্রশাসন পক্ষে থেকে এলাকার দুঃস্থ বৃদ্ধদের হাতে লুঙ্গি, বৃদ্ধাদেরকে শাড়ী ও বাচ্চাদের জামা, চকোলেট ও সানিটাইজার বিতরণ করেন।

    উপস্থিত ছিলেন কেশপুর থানার ওসি অঞ্জনী কুমার তেওয়ারী, অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকগণ, কনস্টেবল ও সিভিক ভলান্টিয়ারগন।

    এছাড়াও এদিন কেশপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পুলিশ দিবস উপলক্ষে কেশপুর থানার সমস্ত পুলিশ আধিকারিকদেরকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। কেশপুর ব্লক সভাপতি উত্তমানন্দ ত্রিপাঠি সহ অন্যান্য নেতৃত্ব বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।