|
---|
জৈদুল সেখ, কান্দি: করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ শৃঙ্খল ভাঙতে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে অস্থায়ী লকডাউনে রাজ্যে কড়াকড়ির নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ছাড়া দোকান-বাজার খোলা রাখার সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সেই মতো জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে কড়াকড়ি। মুর্শিদাবাদ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, প্রতিদিনই করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর সংক্রমণের হার অনেক বেশি।
এই পরিস্থিতিতেও কান্দির বিভিন্ন এলাকায় দেখাগেল ভিন্ন ছবি কোথায় বাজারে ভিড় তবুও মুখে নেই মাক্স, দোকানে বাজারে নেউ শারীরিক দূরত্ব!
বুধবার বেলা ১১ টার সময় কান্দি থানার আইসি সুভাষ ঘোষের নেতৃত্বে জীবন্তি বাসস্ট্যান্ড, সব্জি বাজার-সহ বিভিন্ন দোকান বন্ধ করার জন্য রাস্তায় নামেন। সেখানে দেখাগেল এক ভয়ানক চিত্র একাধিক শোপিং মলে গাদাগাদি লোক, বাজারে মাক্স হীন মানুষের ভীড় এগুলো সবই কড়া হাতে পদক্ষেপ গ্রহণ করার নির্দেশ দেয় কান্দি থানার পুলিশ।
জীবন্তি ছাড়াও কান্দী গোকর্ণ, মহলন্দীসহ একাধিক এলাকায় বেলা ১০টার মধ্যে বাজার-দোকান বন্ধের জন্য প্রচার ও প্রশাসনিক নির্দেশ দেওয়া হয়।
আবার জীবন্তি বাজারের দীর্ঘদিনের সমস্যা জীবন্তির একমাত্র ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার শাখা যেখানে প্রতিদিন কয়েকশো গ্রাহক এসে ভিড় করে, যা হওয়ার কথাই নয়, এখানে সারাদিন ধরে এতো ভিড় থাকে কেন? কেন শারীরিক দূরত্ব মানা হয় না? প্রশ্ন তুলেছেন জীবন্তির ব্যবসায়ীরা!
তবে ব্যবসায়ীদের অনেকেই পুলিশের এই তৎপরতাকে সাধুবাদ জানালেও কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কাঁচামাল ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে ঈদের বাজার দারুণ ভবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায়। চলছে পবিত্র মাহে রমজান, ইসলাম ধর্মালম্বী মানুষের কাছে সবচেয়ে পবিত্র ও গুরুত্ব পুর্ন মাস, সারা মাস ধরেই চলছে সিয়াম পালন। ১০ দিন পরেই খুশির ঈদ এখন থেকেই জোর কদমে শুরু হয়েছে কেনা কাটার বাজার কিন্তু আংশিক লকডাউনে ফল, সব্জি বাজার, কাপুড়ের দোকানে পড়েছে মন্দা! ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের তাতেই কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ।
যদিও জীবন্তির ব্যবসায়ী মেহবুব হোসেন বলেন ” ব্যবসায় ক্ষতি হলেও আমরা মেনে নিচ্ছি কারণ আগে সবার জীবন। জীবন থাকলেই সব থাকবে। এই করোনা ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে হলে সতর্ক থাকতেই হবে।। “