|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: বাহুবলী-২ সিনেমার চিত্রপটের রাজপ্রাসাদের পর এবার পুরীর ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ মন্দির। মালদহ জেলার ইংরেজবাজার শহরের ১২০ বছরের ঐতিহ্যবাহী গোলাপট্টি সর্বজনীন দূর্গৎসব কমিটির এবারের পুজোর থিম জগন্নাথ মন্দির। প্রায় ৭০ ফুট উঁচু এই মন্দির তৈরির কাজ এখন জোরকদমে চলছে গোলাপট্টিতে পুজোর নির্দিষ্ট জায়গায়। নবদ্বীপ থেকে আসা কারিগরেরা প্রায় এক মাস ধরে এই মন্ডপ তৈরির কাজ করে চলেছেন। সেই মন্ডপ শিল্পীদের ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে।
মালদহ জেলা সদর ইংরেজবাজার শহরের নেতাজি মোড় সংলগ্ন এলাকায় গোলাপট্টি বলে পরিচিত। এই গোলাপট্টিতে ১১৯ বছর ধরে পুজোর আয়োজন করে আসছে স্থানীয় বাসিন্দারা। উদ্যোক্তাদের কাছ থেকেই জানা গিয়েছে, শুরুর দিকে খুবই সাদামাটাভাবেই এই পুজোর আয়োজন হত। কিন্তু কালের আবর্তনে পূজোর জৌলুস বেড়েছে। গত কয়েক বছর ধরে থিম পুজোর আয়োজন করে চলেছেন এই পুজো কমিটির উদ্যোক্তরা। ২০১৭ সালে উত্তরবঙ্গের সর্বোচ্চ ৫১ ফুটের দুর্গা প্রতিমায় পুজোর আয়োজন নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। প্রশাসনের তরফে সেবার আপত্তি জানানো হয়। শেষপর্যন্ত প্রতিমার উচ্চতা কমিয়ে পুজোর আয়োজন হয়েছিল। সেই প্রতিমা দেখতে মানুষের ভিড় উপচে পড়েছিল পুজোমণ্ডপে। গত বছর তাদের থিম ছিল বাহুবলী-২ সিনেমার রাজপ্রাসাদের আদলে মণ্ডপ। গতবছরও মানুষের ভিড় উপচে পড়ে। এবারে তারা তৈরি করছে পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দিরের আদলে মণ্ডপ। প্রায় ৭০ ফুট উঁচু সেই মন্ডপ তৈরির কাজ চলছে জোর কদমে। এই মণ্ডপের পাশাপাশি শ্বেতশুভ্র সেরামিক দিয়ে তৈরি হচ্ছে প্রতিমা। মন্তব্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে থাকছে আলোর আয়োজন। পুজো কমিটির সম্পাদক অরুণেন্দ্র নারায়ণ চৌধুরী বলেন, “২ অক্টোবর গান্ধীজীর জন্মদিন এবং চতুর্থী। সেদিনই আমাদের পুজোর উদ্বোধন হবে। পুজোর উদ্বোধন করবেন এই পুজো কমিটির মুখ্য পৃষ্ঠপোষক প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী।” এই পুজো কমিটির অন্যতম উদ্যোক্তা রাজীব সাহা, অজয় সাহারা বলেন, পুজোর চারদিনই ভোগ বিলি করা হবে। তবে অষ্টমীতে গোলাপট্টির সমস্ত বাসিন্দারা মিলে পঙতি ভোজন করবেন। এটাই রেওয়াজ।