|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা:নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) এর বিরুদ্ধে জনগণ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছিল। তাদের নেতৃত্ব দিয়েছিল তাদের মধ্য থেকে উঠে আসা নেতারা। সেই ঐতিহাসিক বিরল প্রকৃতির আন্দোলন ব্যর্থ করতে সরকার সব ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং করোনার ফলে তা বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু যারা ওই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিল তাদের জীবন ধ্বংস করার কাজ আজও সরকার করতেই আছে। সেই নেতাদের মধ্যে একজন ছাত্র নেতা আনিস খানকে গত বছর ১৮ ফেব্রুয়ারী নাটকীয় কায়দায় হত্যা করা হয়। তার পরিবার আজও ন্যায় বিচার পায়নি। এখন সেই একই পরিবারের আরো একজন সদস্য সালমান খানকে জনগণের নিকট অপরিচিত ও হত্যাকাণ্ডে যুক্ত সুধীজনদের নিকট সুপরিচিত ব্যক্তি আক্রমণ করে। সে এখন তার ভাই আনিসের ন্যায়ের জন্য নয়, তার জীবনের জন্য লড়াই করছে। আনিস খাঁনের পরিবার এখন উভয় সংকটে আনিসের জন্য ন্যায়ের দাবি ছাড়তে হবে অথবা জীবনের আশা ছাড়তে হবে।
সালমানের উপর প্রাণঘাতী আক্রমণ এটাই প্রমাণ করছে। এই সমস্ত ঘটনার গভীরতা বুঝে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার রাজ্য সভাপতি ডঃ মোঃ মিনারুল শেখ তার এক বিবৃতিতে বলেন যে, “অপরাধীদের শাস্তি না দিয়ে তাদেরকে নিরাপত্তা দেওয়া একটি অলিখিত নিয়ম হয়ে যাচ্ছে। ধর্ষকদের মিষ্টি খাওয়ানো ও নিপীড়ত পরিবারের সদস্যদের হত্যা করার ঘটনা ঘটতেই আছে। সালমান খাঁনের উপর আক্রমণ সেই একই সূত্রের ফলাফল। এই ক্ষেত্রে সরকার নির্যাতিত ব্যক্তি ও তার পরিবারের জীবন দুর্বিসহ করতে ব্যস্ত। আনিস খাঁনের মৃত লাশ উঠিয়ে তদন্ত করা হয়েছে। তার পরিবারের লোকের উপর হুমকি আসতেই আছে। এর মাঝে সালমানের উপর আক্রমণ হয়ে গেল। অর্থাৎ অপরাধীরা শাস্তি না পেলেও নির্যাতিতরা শাস্তি পেতেই আছে। সরকারের এই হৃদয়হীন ব্যর্থতা ভয়ঙ্কর বিষয়।”
তাই রাজ্য সরকারের নিকট দাবি যে, নির্যাতিতদের শাস্তি বন্ধ করে অপরাধীদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। উপযুক্ত সময়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ না করে পরে মৃত ব্যক্তির লাশ উঠিয়ে তদন্ত করার কাজ শুরু করা সরকারের নিয়তের স্বরূপ ছাড়া অন্য কিছুই প্রমাণ করে না।তিনি জনগণের নিকট আবেদন করেন যে, “তারা যেন সরকারের উপর অতিমাত্রায় ভরসা করে নিজের জীবন ধ্বংসের মুখে ঠেলে না দিয়ে আইনের উপর ভরসা রেখে জীবন ও অধিকার রক্ষা করার কথা ভাবে। কারণ অপরাধীদের শাস্তি প্রদান ও নির্যাতিতদের নিরাপত্তা দানে সরকার প্রায় বিফল। কেন বিফল সে কথা সরকার বলবে কিন্তু আইনের হাত ধরে অধিকার ও জীবন রক্ষার কাজ জনগণকেই করতে হবে। তা হলে সরকারও সাথে থাকবে।