আদালত চত্বরেই মনের কষ্টে ভেঙে পড়েছিলেন পরিমণির দাদু

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক : শৈশবেই মা-বাবাকে হারিয়েছেন পরিমণি। সেই থেকে দাদুর কাছে মানুষ। একে-অপরের ‘অন্ধের যষ্ঠি’। কিন্তু অভিনেত্রী নাতনি এখন জেলে। তাই চার দিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার যখন আদালতে তোলা হল পরিমণিকে, তখন তাঁকে একটিবার দেখার জন্য সেখানে গিয়েছিলেন দাদু শামসুল হক। কিন্তু, নাতনির সঙ্গে তাঁকে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হল না। অতঃপর আদালত চত্বরেই মনের কষ্টে ভেঙে পড়েছিলেন শতোর্দ্ধ শামসুল হক।

    আবেগে গলা বুজে আসছিল দাদু শামসুলের। সদ্য অস্ত্রোপচার হয়েছে তাঁর শরীরে। এখনও ঠিক করে সেরেই ওঠেননি। কিন্তু এই ভগ্ন শরীরেও প্রিয় নাতনিকে একবারটি চোখের দেখা দেখতে চেয়েছিলেন। ক্ষীণ স্বরে একটাই আর্জি জানিয়েছিলেন, “আমি ছাড়া তো ওঁর আর কেউ নেই।” পাশাপাশি নায়িকার দাদু এও বলেন যে, “সে নিজের জন্য কিচ্ছুটি করে নাই। মানুষকে দান করেছে। নিজে ভাড়া বাড়িতে থাকে। প্রত্যোক বছর ঈদে কোরবানি করে দুস্থ মানুষদের জন্য।”

    গত মে মাসে ইনস্টাগ্রামেও দাদুর ছবি শেয়ার করেছিলেন পরিমণি। লিখেছিলেন, “দেখেন কেমন বাচ্চাদের মতো। একশোরও বেশি বয়স তাঁর। দুদিন আগে অপারেশন হয়েছে। ডাক্তার ৪দিন মুখ দিয়ে খাওয়া বন্ধ রেখেছিলেন। আর আজ ডাক্তারের কাছ থেকে উপহার পেয়ে নানু তো মহাখুশি।” দাদুর সেই চকোলেট খাওয়ার ছবি শেয়ার করা যে এক চিরন্তন মিষ্টি সম্পর্কের ইঙ্গিত দেয়, তা বলাই বাহুল্য।

    প্রসঙ্গত, গত কয়েক দিন ধরেই সংবাদের শিরোনামে বাংলাদেশি অভিনেত্রী পরিমণি। মাদক যোগ ও মধুচক্র চালানোর অভিযোগে অভিনেত্রীকে গ্রেফতার করেছে ব়্যাব। এরপর জলও গড়িয়েছে অনেকটা। গোটা বাংলাদেশজুড়ে একেবারে ছি-ছি-কার পড়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার আরও ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ার পরই আর নিজের মাথা ঠিক রাখতে পারেননি পরিমণি। আদালতেই চিৎকার করে বললেন, “আমার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যে মামলা দেওয়া হয়েছে। ফাঁসানো হচ্ছে আমাকে…।” ওদিকে দাদুও নাতনির দেখা না পেয়ে ভেঙে পড়েছেন।