বিধায়কের বিরুদ্ধে শহরের একাধিক জায়গায় পোস্টার

বিধায়কের বিরুদ্ধে শহরের একাধিক জায়গায় পোস্টার

     

    নিজস্ব প্রতিবেদক, নতুন গতি নদীয়া; জাতীয় কংগ্রেসের টিকিটে জোটের সহযোগিতায় জয়ী হয়েছিল নদীয়ার শান্তিপুর বিধানসভার বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য্য। পরবর্তীতে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান এবং তারও পরবর্তীতে কিছুদিন আগে বিজেপিতে যোগদানের ফলে , সোশ্যাল মিডিয়াই হোক বা লোকালয়, সর্বত্রই দলত্যাগের বিরুদ্ধে কানাঘুষা আলোচনা শোনা যাচ্ছে। বিধায়ক তৃণমূলে থাকাকালীন বেশ কিছুদিন আগে, বিজেপি এক কর্মী খুনের সরাসরি অভিযোগ ওঠে বিধায়কের বিরুদ্ধে। দিল্লিতে কৈলাশ বিজয় বর্গী হাত থেকে পতাকা নিয়ে যোগদানের পরেরদিনই সোশ্যাল মিডিয়ায় ধিক্কার জানিয়ে ক্ষোভ জানানো হয় ওই পরিবারের পক্ষ থেকে। শান্তিপুরের বেশকিছু বিজেপি কর্মী সমর্থক যোগদানের বিরুদ্ধে ধিক্কার জানাতে দেখা যায়। তবে স্থানীয় জেলা বা রাজ্যের বিজেপির পদাধিকার কাউকে এই বিষয়ে মুখ খুলতে দেখা যায়নি সংবাদমাধ্যমে, বরং তারা জানিয়েছেন দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে আমরা কেউই নই। এভাবেই খানিকটা ক্ষীন হচ্ছিলো বিক্ষোভ! কিন্তু

    গতকাল একটি টিভি চ্যানেলে বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য্যকে দেখা যায় বিজেপি নেতা হিসেবে অন্য দলের সকলের প্রতিনিধিদের সাথে বিতর্কের এক অনুষ্ঠানে যোগদান করতে। এরপর গতকাল রাত থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় , বাম কংগ্রেস জোট, এবং তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ব্যক্তিগত প্রোফাইল থেকে ক্ষোভে ফেটে পড়েন কর্মীরা। আজ সকালে শান্তিপুর শহরের একাধিক জায়গায় রঙিন উন্নত পোস্টার দেখা যায় বিধায়কের বিরুদ্ধে। শান্তিপুর শহরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের, রামনগর চর, শশী খাঁ পোল, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ডাকঘর, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বড়বাজার, বেলঘড়িয়া ২ নম্বর অঞ্চলের ফুলিয়া পাড়া, হরিপুর অঞ্চলের নৃসিংহ পুর এ রকমই শান্তিপুর শহর ও গ্রামের একাধিক জায়গায় পোস্টার পড়তে দেখে এলাকাবাসী। যাতে লেখা আছে “দম বন্ধ হওয়া শান্তিপুর আজ অভিশাপমুক্ত, অশুভ্ শক্তির বিনাশ, তাই শান্তিপুরের ঘরে ঘরে নতুন করে আজ বাঁধভাঙ্গা স্বাধীনতার আনন্দ।”

    পাপটা বিদায় হয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেস জিতে গেছে, বাকি শুধু আবির খেলা, অরিন্দম তুমি শান্তিপুর ছেড়ে পালা” যদিও লেখার বানান এবং গুণগত মান থেকে বোঝা যায়, অত্যন্ত অনভিজ্ঞ কিন্তু, রং এবং প্রিন্টিং এর গুণগত মান দেখে বোঝা যায় সেগুলো যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে খরচসাপেক্ষ ভাবেই তৈরি করা হয়েছে।