|
---|
পীর মরহুম আল্লামা একেএম হায়দার আলী সাহেবের রুহের মাগফিরাত উপলক্ষে দোয়ার মজলিস
বিশেষ প্রতিবেদক, রাজারহাট: উত্তর চব্বিশ পরগনার খড়িবাড়ির আন্দুলিয়া জালালীবাগ দরবার শরীফের পীর আল্লামা একেএম হায়দার আলী সাহেবের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়ার মজলিস আয়োজিত হয় শুক্রবার।দোয়ার মজলিসের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফুরফুরা শরীফের পীর আল্লামা আলহাজ্ব মাওলানা মোঃ আবু বক্কার সিদ্দিকী রহমাতুল্লাহ আলাইহির আওলাদ পীরজাদা হযরত মাওলানা সাহিম উদ্দিন সিদ্দিকিসাহেব।
ফুরফুরা শরীফের দাদা হুজুর পীর কেবলার অন্যতম খলিফা কানখুলির শাহ জালালী রহঃ এর পৌত্র তথা রাজারহাট নিউটাউনের মাঝেরআইট দরবার শরীফের পীর সাহেব হুজুরের মেজ সাহেবজাদা পীরে কামেল হযরত মাওলানা একেএম হায়দার আলী রহমাতুল্লাহ আলাইহি গত ১০ ই আগস্ট নিউটাউনের এক বেসরকারি নার্সিংহোমে পরলোকগমন করেন। শুক্রবার মৃত্যুর চতুর্থ দিন পীর পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর মেজো ছেলে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা পরিষদের বন ও ভূমি স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তথা বিশিষ্ট শিক্ষক নেতা পীরজাদা আলহাজ্ব একেএম ফারহাদ সাহেবের তত্ত্বাবধানে দোয়ার মজলিস অনুষ্ঠিত হয়।দুয়ার মজলিসের আহ্বায়ক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পীর আল্লামা একেএম হায়দার আলী সাহেবের বড় ছেলে পীরজাদা মাসুম বাখতেয়ারী সহ তার অন্যান্য ছেলেরা পীরজাদা হাফেজ মোস্তাক বাখতেয়ারী, পীরজাদা আলহাজ্ব মাওলানা রাকিবুল আজিজ বাখতেয়ারী, পীরজাদা মিরাজুল কাদির বাখতেয়ারী প্রমূখ।
বহু মানুষের সমাগমে ও তাদের চোখের পানিতে এদিনের এই দোয়ার মজলিস পরিচালিত হয়। লক্ষ লক্ষ মানুষের উপস্থিতিতে চার দিন আগে এলাকার সকল মানুষের ভালোবাসার মানুষ জনাব পীর সাহেবের মৃত্যুতে এলাকার শোকের পরিবেশ আজও বিরাজ করছে।
পীরজাদা একেএম ফারহাদ সাহেব বলেন আমার আব্বাজান হুজুর পীর কেবলা দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি সহ সমগ্র বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের প্রচুর ভক্ত-মুরিদ, ভালোবাসার মানুষ ছিল। মৃত্যুর দিন থেকেই আজও পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ মানুষ সমবেত হচ্ছেন একটু দোয়া পাওয়ার উদ্দেশ্যে নিয়ে। তিনি বলেন সকল মানুষের আন্তরিকতায় আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি। বিশেষত আন্দুলিয়া সহ খড়িবাড়ির বিভিন্ন গ্রামের হিন্দু মুসলিম সকল মানুষরা মৃত্যুর দিন থেকে দুরদূরান্ত থেকে আগত ভক্তদের যেভাবে বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্প করে পরিষেবা দিয়েছেন তা এক কথায় প্রশংসার দাবি রাখে। বিশেষত আন্দুলিয়া জামে মসজিদের সম্পাদক জনাব ইন্নাস আলি সাহেবের ভূমিকা অনবদ্য রূপ নিয়েছে।
এলাকার জনৈক বাসিন্দা মইবুল ইসলাম বলেন যে, পীর আল্লামা একেএম হায়দার আলী সাহেব খড়িবাড়ি এলাকার জ্যোতি ছিলেন। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যেভাবে লক্ষ লক্ষ মানুষ এসেছেন আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি তাদেরকে সঠিক পরিষেবা দেওয়ার। বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে বিভিন্ন গ্রামের যুবক ছেলেরা বাতাসা, বিস্কুট, মুড়ি, খেজুর পানীয় জলের ব্যবস্থা করে মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার আপ্রান চেষ্টা করেছে। ভবিষ্যৎ আমরা সবরকম ভাবে পীর পরিবারের সদস্যদের পাশে থাকবো বলে জানান মসজিদ কমিটির সম্পাদক ইন্নাত আলি।