|
---|
শরিফুল ইসলাম, শান্তিপুর : রাজ্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে শান্তিপুর বিধানসভার অভ্যন্তরে অরিন্দম ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে পালিত হলো তৃণমূলের নতুন জনসযোগ কর্মসূচীর দ্বিতীয় পর্যায় বাংলার গর্ব মমতা l
দিদিকে বলার পর চলতি মাসের দ্বিতীয় দিনে কলকাতায় ইন্ডোরে দলের কর্মী সম্মেলনে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায় ঘোষণা করেন জনসংযোগের নতুন প্রচারাভিযান বাংলার গর্ব মমতা l সেখানেই মমতা পঁচাত্তর দিন নতুন প্রচারাভিযানের মেয়াদও বেঁধে দেন l বাড়ি বাড়ি গিয়ে দলের কর্মী নেতৃত্বকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে l তাঁদের অভাব-অভিযোগ শুনতে হবে l সমস্যার সমাধান করতে হবে l
সভায় আড়াইশো কর্মীর সম্মেলনের কথা বলা হলেও শান্তিপুরে তাঁর বিধানসভা অঞ্চলে নতুন-পুরাতন, ও বঞ্চনার অভিযোগ তুলে বসে যাওয়া কর্মী সকলকেই তিনি সন্মান দিয়ে ডেকেছেন l জানালেন বিধায়ক অরিন্দম l
এবং আহুত প্রায় সকলেই কর্মী সম্মেলনে আসায় সংখাটি প্রায় হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে যায় l সভাস্থলে স্থান সঙ্কুলান না হওয়ায় বহু কর্মী স্টেডিয়ামের বাইরে দাঁড়িয়ে সভার বক্তব্য শুনেছেন l জানালেন বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচাৰ্য l
কে ছিলেন না সম্মেলনে? শান্তিপুরে যাঁদের হাত ধরে তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা পেয়েছিলো — তাঁদের অন্যতম জ্ঞান প্রামাণিক, মৃনাল মৈত্র, শঙ্করী প্রসাদ ভট্টাচাৰ্য l উপস্থিত ছিলেন, সুব্রত কর, কৌশিক প্রামানিক, যুগল সরকারের মতন অনেকেই l
সভার শুরুতেই প্রজেক্টরের মাধ্যমে দলনেত্রীর বার্তা ও ইতিমধ্যে রূপায়িত কর্মসূচি এবং আগামীদিনের নানা বিষয় দেখানো হয় l সভার সঞ্চালক ছিলেন অরবিন্দ মৈত্র l মঞ্চে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের সভানেত্রী রিক্তা কুন্ডু, বর্ষীয়ান সদস্য নিমাই বিশ্বাস, শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী রিনা প্রামাণিক প্রমুখ l
লোকসভা নির্বাচনের পর কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা কে উপলক্ষ করে পৌর পার্কের পাশে কেন্দ্র ও বিজেপি বিরোধী মঞ্চ গড়ে ধর্ণা সভায় শহরের সর্বস্তরের তৃণমূল কর্মীদের সংগঠিত করার সুবর্ণ সুযোগ শান্তিপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান হাত ছাড়া করলেও
পুরভোটের আগে, এদিন শান্তিপুর বিধানসভা ভিত্তিক দলীয় কর্মী সম্মেলনে নতুনে-পুরনে ‘ দীর্ঘ তিক্ত সম্পর্কে নতুন সমীকরণ ঘটিয়ে দলীয় নেতৃত্ব ও কর্মীদের বেশ খানিকটা কাছাকাছি নিয়ে এলেন শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য্য, মনে করছেন শান্তিপুরের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের অধিকাংশ l