|
---|
বাবলু হাসান লস্কর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা: আমফান কিংবা যশ প্রাকৃতিক বিপর্যয় এলেই সর্বদা মানবিকতার নজির গড়েছেন, কলকাতা প্রেমানন্দ মেমোরিয়াল হাসপাতালের কর্মকর্তারা ।
গাঙ্গেয় সুন্দরবন এলাকার ব্লক গুলিতে কোথাও প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র কোথায় বাড়ি নির্মাণের সামগ্রী কোথাওবা ত্রাণ নিয়ে হাজির হয়েছেন। কয়েক হাজার প্রতিবন্ধী মানুষদের হুইল চেয়ার সহ সমস্ত রকমের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তারা মেডিকেল ক্যাম্প এর মাধ্যমে বিতরন করেছেন। সাধারন মানুষজনের কাছে এক পরিচিত নাম । একের পর এক মানবিকতার নজির গড়ছেন। বিশ্ববরেণ্য মহীয়সী নারী মাদার তেরেসার সেবায় ব্রতী হয়ে নিজেদেরকে এই এইকাজে উৎসর্গ করতে চলেছেন। নদী-নালা খাল-বিল বেষ্টিত সুন্দরবন বাসী দের ভালো বাসায়, প্রতিটি মুহূর্তই সুন্দর বনে দিন কাটাচ্ছেন । এখানে থাকাটা তাদের কাছে অনেক সমস্যা। তা সত্বেও অসহায় মানুষদের সেবা করার লক্ষ নিয়ে এখানে দিন কাটাচ্ছেন। নিজেদেরকে এই এলাকায় সাধারন মানুষদের মত স্বাভাবিক ভাবেই চলছেন। চলাফেরা থেকে থাকা খাওয়া- করছেন। তারা বেছে নিয়েছেন সুন্দরবনের মানুষদের । সহজ সরল সাদাসিদে, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে এদের সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে নেয়। কিন্তু এদের মুখের হাসি এদের সরলতা বারেবারে আকৃষ্ট করে প্রেমানন্দ হাসপাতালে কর্মকর্তাদের । তাই সুদূর কলকাতা থেকে এবং ভারতবর্ষের বাইরে থেকেই প্রেমানন্দ হাসপাতালের সহযোগিতা নিয়ে, এলাকায় বানভাসি মানুষদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তারা দিয়ে যাচ্ছেন। এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য শিক্ষা বাসস্থানের ব্যবস্থা করছেন।
দিনের পর দিন এই প্রেমানন্দ হাসপাতালের কর্মকর্তাদের এমন উদ্যোগকে এলাকার মানুষ সাধুবাদ জানাচ্ছেন। হিন্দু না ওরা মুসলিম জিজ্ঞাসে কোন জন কান্ডারি বলো ডুবিছে মানুষ সন্তান মোর মা’র ।জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষদের কাছে এক পরিচিতি নাম । সেবায় প্রেমানন্দ মেমোরিয়াল হাসপাতাল এর কর্মকর্তারা । যেখানে বিপদ এর আশঙ্কা, যেখানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার নিজেদের জীবন বিপন্ন করে সেই সমস্ত প্রত্যন্ত এলাকায় মানুষের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে যাচ্ছেন প্রেমানন্দ হাসপাতালের কর্মকর্তারা । তাদের কথায় আমরা এখানেই সর্বদা থাকব, আর মানব সেবায় ব্রতী হব। মাদার তেরেসা মহীয়সী নারী, মানব কল্যাণে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে গিয়েছিলেন। ওই রূপে মানুষ মানুষের পাশে থাকবে এটাই আমাদের আগামী দিনের চলার পথের পাথেয় । তারা আশা বাদী বানভাসি সুন্দরবনের মানুষ আমার ভাই-বোন। আমরা তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করব।